।। প্রথম কলকাতা ।।
Ration Strike: রেশন ব্যবস্থা দৈনিক রুটি-রুজির প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। রেশন ব্যবস্থার সঠিক প্রয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুর্নীতি ও অনিয়ম৷ বহু রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে রেশনে কারচুপির অভিযোগ ওঠে নানা সময়। গ্রাহকরা বিভিন্ন ভাবে অভিযোগে সরব হন। এবার নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই দেশজুড়ে রেশন ধর্মঘটের ডাক দিল অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ওনার্স ফেডারেশন। এই ধর্মঘটের কারণটা কী ?
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রেশন ডিলারদের দাবি, এফসিআই থেকে চটের বস্তায় খাদ্যশস্য দিতে হবে, মূলত খাদ্যশস্য নষ্ট কমানোর জন্যই এই ব্যবস্থাপনা। এছাড়াও রয়েছে, নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যা, সার্ভার জনিত সমস্যা অথবা আঙুলের ছাপের অমিলের কারণে রেশন উপভোক্তাদের সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়াও খাদ্যশস্যের কুইন্টাল পিছু ১ কিলো করে হ্যান্ডেলিং লস দিতে হবে। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য রেশন দোকানদারদের নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা আয় নিশ্চিত করতে হবে। অগ্রিম কমিশন চালু করতে হবে এনএফএসএ-র নিয়ম অনুযায়ী। আর এই দাবি যতদিন না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে বলেই জানান রেশন ডিলাররা। মূলত এই ধর্মঘটের জেরে সমস্যায় পড়বেন দেশের ৮১ কোটি মানুষ। ধর্মঘটের ফলে গোটা দেশে ১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকবে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার রেশন দোকান।
সম্প্রতি খাদ্যদপ্তর বাধ্যতামূলক করেছে রেশনের খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই এর জন্য। ইতিমধ্যেই রেশন দোকানগুলিতে মেটাতে আইরিশ স্ক্যানারে গ্রাহকের পরিচয় যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যে সব গ্রাহকের আধার নম্বর দেওয়া রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই আবশ্যিক। গ্রাহকের আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই ছাড়া খাদ্য বণ্টন বন্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তেও বেজায় ক্ষুব্ধ ডিলার সংগঠন। খাদ্যদপ্তর বায়োমেট্রিকের প্রয়োজনে আধার কার্ড নম্বর আপডেট করার পাশাপাশি কাজ শুরু করে হাতের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে নেওয়ার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম