তাওয়াং হামলার চীনা প্ল্যান ফাঁস! ভারতের দৈত্য উড়ছে আকাশে, হামলার সংকেত?

।। প্রথম কলকাতা ।।

তাওয়াংয়ে চীনের সিক্রেট মিশন ফাঁস হয়ে গেল। দিল্লি হাতেনাতে ধরে ফেলল বেজিংয়ের নেক্সট মুভ এবার আকাশপথে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসবে ভারতের দৈত্য ডোকালাম নিয়ে বড় খবর আসতে পারে। যে অ্যাকশনের প্ল্যান করেছিল চীন সেটা বোধহয় আর সাকসেসফুল হবে না। কারণ তাওয়াংয়ের আশেপাশে যে জাল বিছিয়ে ছিল লালফৌজের দল সেটা জানতে আর বাকি নেই ভারতের। ইচ্ছা করেই কি ভারতকে নিজেদের প্ল্যান জানাল বেজিং? নাকি আসলে তারা ধরা পড়ে গেল? তাওয়াং সীমান্তে দশমীতে রাজনাথ সিংয়ের অস্ত্রপুজোর পর এবার কার্যত অ্যাকশন শুরু করার পালা তাহলে? ঠিক কি কি ছবি ধরা পড়েছে চীনা কার্যকলাপের যে নাথুলা পাস থেকে ডোকালাম পর্যন্তা কার্যত অ্যালার্টে রয়েছে ইন্ডিয়ান আর্মি?

দেখুন অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এলএসি ভারতীয় এবং চীনা সেনার সংঘর্ষ নতুন কোনও ঘটনা নয়। তাওয়াং সীমান্তে আগেও লাল ফৌজ আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেছে কিন্তু এবার যেন অনেক বেশি পরিকল্পিত সেই প্ল্যানিং এমনটাই দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে দেখা‌ গেছে তাওয়াং সেক্টরে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েন করে ফেলেছে চীন। সেখানে রীতিমত সামরিক পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে তাওয়াং সেক্টরে চীন তাদের কমবাইন্ড আর্মস ব্রিগেড (CAB) মোতায়েন করছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন? তাহলে কি এবার ভারতের অরুনাচল প্রদেশের ওপর যখন তখন হতে পারে আক্রমণ? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি বেজিং প্রিপারেশন নিতেই পারে কিন্তু বিষয়টা আসলে এত সহজ নয়।

রাজনাথের সফরের দিনেই ইস্টার্ন এয়ার কমান্ড ৩০ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ‘পূর্বী আকাশ এক্সপিডিশন’-এর কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। এটা ভারতের বায়ুসেনার বিশাল বড়সড় মহড়া। আর এখানেই কার্যত চীনকে সতর্ক করে দেবে দিল্লি। ২০২১-র অক্টোবরের পর ২০২২-র ডিসেম্বর কিন্তু মার খেয়েও কেন বারবার অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াংকেই নিশানা করছে চীনের  People’s Liberation Army বা PLA? এর নেপথ্যে কাজ করছে চীনের কোন উচ্চাকাঙ্খা? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভূকৌশলগত দিক থেকে তাওয়াঙের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ হওয়াতেই এই এলাকা কবজা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বেজিং। অরুণাচলের এই এলাকার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে তিব্বত আর এর পশ্চিমে ভুটান ও পূর্ব মায়ানমার প্রাকৃতিক দিক থেকে এর অবস্থান উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে রক্ষা-কবচ দিয়ে থাকে। তাই তাওয়াং হাতিয়ে নিতে পারলেই গোটা উত্তর-পূর্বের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাবে চীন।

অরুণাচলে চীনের আগ্রাসনের চেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত বলেই মনে করে এসেছে ভারত তাই ফের একই ছকে আক্রমণ আসতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে ঠিক সেজন্যই চীনা আগ্রাসন মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গ সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামরিক সাজসজ্জা আরও বাড়ানো দরকার বলেও মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ঝুঁকি এড়াতে সীমান্তবর্তী ডোকলাম, নাথুলাতেও বাড়তি সতর্ক ভারত সতর্কতা কিন্তু রয়েছে চিন সীমান্তের হা (ভুটানের অন্তর্গত)। সংলগ্ন বিন্দুতেও চীনা আগ্রাসনের জায়গা থেকে স্ট্র্যাটেজিক কারণেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে উত্তরবঙ্গ অতিরিক্ত স্পর্শকাতর ওই এলাকার মধ্যেই রয়েছে ডোকলাম এবং নাথুলা সীমান্ত। এবার দেখার ভারতের দিকে পা বাড়ানোর সাহস আদৌ হয় কিনা পিএলএ আর্মির।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version