চমকে গেল চীন! অরুনাচলে কঠোর স্টেপ দিল্লির, সফর বাতিল

।। প্রথম কলকাতা ।।

কানাডা ইস্যুর মাঝেই ফের ভারত- চীন উত্তেজনা। চীনে সফর বাতিল করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেন? অরুনাচল প্রদেশ নিয়ে নতুন করে কোন বিবাদ। দিল্লি বড়সড় স্টেপ নিতে বাধ্য হল এবার। বারবার অপমান বারবার অতিচালাকি সহ্য করা হবে না। ভারত যেভাবে প্রতিবাদ জানাল চীনের কুকীর্তি গোটা বিশ্ব জানবে। অরুনাচল প্রদেশ ইস্যুতে কঠোর অবস্থান দেখিয়ে দিল নয়া দিল্লি। আবার কি কোনও ম্যাপ বিতর্ক কানাডা ইস্যুর মাঝে ভারতকে উস্কানি দেওয়া নতুন কোন চেষ্টা বেজিংয়ের। কেন বিদেশমন্ত্রক কড়া সুরে বলে দিল অরুনাচল আমাদেরই অংশ?

না নতুন করে কোনও ঘটনা নয়, চীনের পুরোনো অ্যাকশনের এবার পাল্টা দিল ভারত। শনিবার এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এশিয়াড উপলক্ষে ভারতের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের চীনে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতের তিন উসু প্লেয়ারকে চীনে প্রবেশ করতে দেয়নি বেজিং সরকার। তাদেরকে স্টেপল ভিসা দিয়েছিল চীন। নেইমান ওয়াংসু, অনিলু তেগা, মেপাং লামগু অরুনাচল প্রদেশের তিন অ্যাথলিটের চীনে হানঝাউ গেমসে উসু ইভেন্টে নামার কথা। এই ঘটনার প্রতিবাদে অনুরাগ ঠাকুর তাঁর চীন সফর বাতিল করলেন।

জানা গিয়েছিল এশিয়ান গেমসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় মহিলা উশু দলের তিন খেলোয়াড় চীনে যেতে পারেননি। এর আগে তিনজন খেলোয়াড়ই এশিয়ান গেমস কমিটির কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছিলেন। কিন্তু এরপর তাদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হয়নি। মানে এই তিন খেলোয়াড়ই তাদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ডাউনলোড করতে পারছিল না কোনওভাবে। এক কর্মকর্তা বলছেন একবার অ্যাথলিটরা আয়োজক কমিটির কাছ থেকে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেয়ে গেলে এর মানে হল যে তারা এশিয়ান গেমসের জন্য ভ্রমণের জন্য যেতে পারবেন। উশু দলটি ১০ সদস্যের ছিল কিন্তু এই মুহূর্তে তারা মাত্র ৭ সদস্যকে নিয়েই চীনে গিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এশিয়ান গেমসগামী অরুণাচলের তিন অ্যাথলিটের সঙ্গে যা হয়েছে তাতে এশিয়ান গেমসের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিযোগীদের প্রতি বৈষম্য স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। চীনের এই পদক্ষেপ এশিয়ান গেমসের চেতনা এবং তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ম উভয়ই লঙ্ঘন করে। প্রশ্নটা হচ্ছে এই ঘটনাটা তো ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগে তাহলে হঠাৎ এখন কেন এর প্রতিক্রিয়া দিল দিল্লি? এই ঘটনা ঘটার পরও চীনের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছিল ভারত সরকার। এবার সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হল দেশের কোনও রাষ্ট্রের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। এবার দেখার এক্ষেত্রে চীনের তরফ থেকে আর কোনও প্রতিক্রিয়া আসে কিনা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version