Panchayat Web Series: বাংলা থেকেই শুরু পঞ্চায়েতের সচিবজির, তুখোড় বুদ্ধিমান আমাদের জিতু ভাইয়া জিতেন্দ্র কুমার

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Panchayat Web Series: জিতু ভাইয়া যে বাস্তবে আইআইটি খড়গপুরের ছাত্র, সেটা কী জানতেন। পর্দার মত বাস্তবেও তুখোড় বুদ্ধিমান আমাদের জিতু ভাইয়া। একটা সময় চরম অর্থকষ্টে দিন কেটেছে জীতেন্দ্রর। সামান্য কিছু টাকার অভাবে করেছেন টিউশনিও। জিতু ভাইয়ার ব্যক্তিগত জীবনেও লড়াই কম ছিল না।  জানেন তার আসল পরিচয়? কি ছিল তার পেশা? পঞ্চায়েতের সচিবছির বলিউডে পা রাখা ধূমকেতুর মতই। গ্যারান্টি দিচ্ছি, অধিকাংশ মানুষ আজও জানেননা জীতেন্দ্র কুমারের জীবনের এই কাহিনী।

 

জীতেন্দ্র কুমারের অভিনয় নিয়ে সত্যিই কোনও কথা হবেনা। সে পঞ্চায়েত হোক কী, কোটা ফ্যাক্টরি। জিতু ভাইয়া যেটাতেই হাত দিয়েছেন সেটাতেই সোনা ফলিয়েছেন। তবে এটা জানেন কি, বাস্তব জীবনেও জীতেন্দ্র কুমার আসলে সোনার টুকরো ছেলে। আইআইটি খড়গপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জীতেন্দ্র কুমারের ট্যালেন্ট কিন্তু কম নয়। একটা সময় দু মুঠো খাবারের জন্য করেছেন টিউশনও। যদিও অভিষেক ত্রিপাঠির জীবনের এই গল্প হয়ত অনেকেরই অজানা।

 

যারা কোটা ফ্যাক্টরি দেখেছেন তারা তো জিতু ভাইয়ার সাথে ভালোই পরিচিত। তার পড়ানোর ধরণ ধারণের ফ্যান সবাই। কোটা ফ্যাক্টরিতে তিনি যত ভালো টিচার, ব্যক্তিগত জীবনে ততটাই ভালো স্টুডেন্টও ছিলেন। এটা খুব কম মানুষই জানেন যে, জীতেন্দ্র কুমার আইআইটি খড়গপুরের ছাত্র‌। রাজস্থানের এই ছেলে জীবনের একটা দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন আমাদের এই খড়গপুরেই।

 

খড়গপুরের বাসিন্দারা কেউ কেউ চিনেও থাকতে পারেন অভিনেতাকে। আছেন কি কেউ এরকম? এরকম কেউ থাকলে কমেন্টে জানাবেন আমাদের।

পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয়েরও তুখোড় ছিলেন জীতেন্দ্র। ছোটবেলায় তো নিয়মিত রামলীলায় অভিনয়ও করতেন। তবে অভিনয়টা সিরিয়াসলি নেন খড়গপুরে আসার পর থেকেই। শুরু করেন থিয়েটারে যাতায়াত। সেখানেই তার সাথে দেখা হয় বিশ্বপতি সরকারের। তিনি তখন ‘দ্য ভাইরাল ফিভার’র সাথে যুক্ত। জীতেন্দ্রর প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান বিশ্বপতি সরকার। তড়িঘড়ি জীতেন্দ্রকে আসতে বলেন ভাইরাল ফিভারে‌।

 

ব্যাস, আর কী? সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংকে টা টা বলে ভাইরাল ফিভারের অংশ হয়ে ওঠেন জীতেন্দ্র। প্রথমটা ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করলেও কেরিয়ারের মোড় ঘুরে যায় ‘Munna Jazbati’-র পর থেকে। ৩ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছিল জীতেন্দ্রর এই ভিডিও। শুরু হয় নতুন জার্নি। মোটা বেতনের চাকরি ছেড়ে জীতেন্দ্র পাড়ি দেন মুম্বাইতে। আর এরপরেই শুরু হয় আসল লড়াই। মুম্বাইতে টিকে থাকার জন্য শুরু করেন কোচিং। শোনা যায়, আইআইটি শিক্ষার্থীদের ফিজিক্স এবং অঙ্ক পড়াতেন অভিনেতা। তাই তো অনেকেই বলেন, ট্যালেন্টের নিরিখে জিতু ভাইয়া আসলে বলিউডের নেক্সট সুশান্ত সিং।

 

তবে খুব বেশিদিন এই স্ট্রাগল তাকে করতে হয়নি। ২০১৯ সালে তার হাতে আসে কোটা ফ্যাক্টরি। আর তারপরই জীতেন্দ্র কুমার হয়ে ওঠেন জিতু ভাইয়া। আর এখন তো পঞ্চায়েতের সচিবজীর ভক্ত গোটা ভারত।

 

https://fb.watch/sGJC5_BDRY/

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

Exit mobile version