Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে করেই বাড়ির পথে ছেলে, অমানবিক ছবি জলপাইগুড়িতে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Jalpaiguri : অসুস্থ মাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এনেই ভর্তি করেছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু মায়ের শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত মায়ের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হলে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে পারেননি ছেলে। কারণ দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারের পক্ষে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নেওয়া একেবারেই সম্ভব ছিল না। তাই মায়ের মৃতদেহ কাঁধে করেই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ছেলে। আর সেই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানান বাবা। এই ধরনেরই একটি ঘটনার সাক্ষী রইল জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ (Jalpaiguri Medical College) চত্বর। যদিও পরবর্তীতে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এক সেচ্ছাসেবী সংগঠন।

জলপাইগুড়ির ক্লান্তি ব্লকের নগরডাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা রামপ্রসাদ দেওয়ান। তাঁর মা লক্ষ্মীরানি দেওয়ান গতকাল রাতে ভর্তি হন জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে। তবে মৃত্যু হয় তাঁর । বৃহস্পতিবার মায়ের মৃতদেহ (Mother’s Dead Body) নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাড়ির পথে হাঁটতে শুরু করেন রামপ্রসাদ। পরবর্তীতে উঠে আসে তাঁর গুরুতর অভিযোগ। তিনি অভিযোগ জানান, অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) তাঁর মায়ের মৃতদেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৩০০০ টাকা ভাড়া দাবি করেছে। প্রথমত অ্যাম্বুলেন্সের এত ভাড়াই নয়। কারণ তিনি তাঁর মাকে মাত্র ৯০০ টাকায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বারবার অনুরোধ করার পরেও কেউ কম ভাড়ায় তাঁর মায়ের মৃতদেহ নিয়ে যেতে চাইনি।

তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই তিনি এবং তাঁর বাবা দুজনে মিলে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে করে বাড়ির পথে রওনা দেন। পরে যখন বিষয়টি জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (NGO) গ্রিন জলপাইগুড়ি জানতে পারি তখন তাঁরা সাহায্য করেন রামপ্রসাদকে। বিনামূল্যে শববাহী গাড়িতে করে লক্ষ্মীরানি দেবীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। এই প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, এই ধরনের ঘটনা বাইরের রাজ্যগুলিতে দেখতে পাওয়া যেত। যেখানে টাকার অভাবে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যেত না। আজ সেই অমানবিক ঘটনা জলপাইগুড়িতে দেখা গেল অ্যাম্বুলেন্সের লাগামছাড়া ভাড়ার জন্য। যেখানে রাজ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version