Kolkata: মাত্র ৩০ টাকায় ভরপেট খাওয়াচ্ছেন স্মার্ট নন্দিনী, মুছে দিয়েছেন বেকার শিক্ষিতের তকমা!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Kolkata: কলকাতার (Kolkata) বুকে মাত্র ৩০ টাকাতেই পাবেন পেট ভরা খাবার। আর সেই খাবার পরিবেশন করতে ব্যস্ত নন্দিনী। মাঝেমধ্যেই তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে ইংরেজি। নন্দিনীর হোটেলে খাবারের সঙ্গে থাকে একরাশ ভালোবাসা। বর্তমান দিনের চারিদিকে শিক্ষিত বেকার কথাটি প্রায়ই শোনা যায়। এই কথার সঙ্গে নিজেকে একদম মিশিয়ে দেননি নন্দিনী গাঙ্গুলী (Nandini Ganguly)। তিনি শেখাচ্ছেন, কিভাবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে লড়াই করা যায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন নিজের স্বপ্ন নিজে কিভাবে পূরণ করবেন।

সম্প্রতি সোশ্যাল (Social Media) মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল নন্দিনীর হোটেল। কেউ তাকে দিদি বলেন, আবার কেউ বা তাকে ম্যাডাম বলে সম্বোধন করে। রাস্তার ধারে দেখবেন এক প্রাণোচ্ছল তরুণী অপেক্ষারত বহু মানুষের সামনে তুলে দিচ্ছেন সুস্বাদু নানান খাবার। যেদিন খাবার বেঁচে যায় সেই খাবার ফুটপাতের বহু মানুষকে দিয়ে দেন। বহু অসহায় মানুষকে তিনি ফ্রিতে খাবার খাওয়ান। পরনে জিন্স টপ, গলায় ব্লুটুথ হেডফোন (Bluetooth headphone)। মুখে সর্বদা হাসি। নন্দিনী মনে করেন, মানুষের ব্যবহার মানুষের পরিচয়। আর মানুষ ফল পান তার কর্ম অনুযায়ী।

এই হোটেলে আপনি মাত্র ৩০ টাকায় পাবেন ডাল, সবজি, তিন থেকে চার রকমের ভাজা, আলুর চোখা, মুগের ডাল। এছাড়াও রয়েছে মাছ, মাংস সহ অনেক কিছু। নন্দিনী সকাল থেকেই উঠে একা হাতে সবটা সামলান। হোটেলের কাজে সাহায্য করেন তার বাবা-মা। ভাজার মধ্যে রয়েছে বেগুন, করলা আর আলু। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টে, নন্দিনীর হোটেলে গেলে আপনাকে খালি পেটে ফিরতে হবে না।

এক সময় নন্দিনী চাকরি করতেন। তখন এই হোটেল সামলাতেন তার বাবা-মা। কিন্তু তাদেরও বয়স হয়েছে। হোটেলের হাল ধরার মতো কেউ নেই। তাই মেয়েকে সাহায্যের জন্য ডেকে নেন। নন্দিনী কয়েক দিনের জন্য বাবা মাকে সাহায্য করতে এলেও, আজ প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে তিনি একইভাবে কাজ করে চলেছেন। আর তার পাশে স্তম্ভের মতো ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাবা-মা। দিনের শুরু থেকে শেষ, নন্দিনীর সময় কাটে অত্যন্ত ব্যস্ত ভাবে।

এখানে ৩০ টাকায় পাবেন ভেজ থালি। ৪০ টাকাতেও ভেজ থালি রয়েছে। সেক্ষেত্রে একটি তরকারি আর ভাজা বেশি পাবেন। এছাড়াও রয়েছে ১০০ টাকার চিকেন থালি, ৭০ টাকার ফিস থালি। সপ্তাহে দুটো দিন বানানো হয় মাটন। বেশিরভাগ দিনেই রুই মাছ আর চারাপোনা থাকে। গত দু’বছর নন্দিনী এমন ভাবেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে চলেছেন। বর্তমানে যেখানে অলিতে-গলিতে গজিয়ে উঠছে বৃদ্ধাশ্রম, সেখানে বাবা-বাবা মায়ের শক্ত লাঠি হয়ে উঠেছেন নন্দিনী গাঙ্গুলী। নন্দিনীর এই বিশেষ হোটেলে আপনাকে খেতে গেলে যেতে হবে ইস্টার্ন রেলওয়ের কাছে তিন নম্বর কালীঘাট রোডে। বিবাদীবাগ, ফেয়ারি প্লেস। এখানেই রয়েছে লাল অফিসের সামনে নন্দিনীর হোটেল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version