।। প্রথম কলকাতা ।।
গঙ্গা জলে দেহ শুদ্ধ হয় কিন্তু মন? তার শুদ্ধতা কীসে? অপরাধে ভরে যাচ্ছে সমাজ তা শুদ্ধ হবে কীভাবে? উত্তর মিলবে ১১১ বছরের পুরনো সিকদার বাগান সাধারণ দুর্গোৎসবে এবছরের থিম শুদ্ধ সূচি। শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে নেমে অটোয় হাতিবাগান। হাতিবাগান থেকে বাঁ দিকে গেলে ২ মিনিটের হাঁটা পথে টাউন স্কুলের উল্টো দিকেই এই পুজো। ১১১ বছর ধরে দুর্গাপুজো চলছে। সহজ কথা নয়। তাই এবারের থিম ভাবনাতেও এক চ্যালেঞ্জ নিয়েছএন পুজো উদ্যোক্তারা।
বর্তমান সমাজে প্রায় রোজই নানা অপরাধমূলক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। মানুষের মনকে পাল্টাতে হবে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী। গঙ্গা জল শরীরে দিলে দেহ শুদ্ধ হয় কিন্তু সমাজে থাকা এই অশুদ্ধ মানুষদের। শুধুমাত্র দেহ শুদ্ধ হলেই চলবে না অন্তর থেকেও শুদ্ধ হতে হবে, মনকে পরিষ্কার করতে হবে। তাই সমাজের মানুষের কাছে সেই শুদ্ধতার তালিকা তুলে ধরা হচ্ছে সিকদার বাগান। সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটির থিম ভাবনায় ১৯১৩ সাল। রাজেন দত্ত, কেষ্ট ব্যানার্জি, বিভূতিভূষণ দাস, খোকা মন্ডল-সহ বেশ কিছু পল্লীবাসীর সহযোগিতা ও চেষ্টায় সিকদার বাগান সাধারণ দুর্গোৎসব-এর শুরু হল লাল মোহন মিত্রের প্রাঙ্গণে। ১৯৫০ সালে সেই পুজোই উঠে আসে ৫৫ সিকদার বাগানের সামনের রাস্তায়।
সাবেক রীতিনীতি মেনেই হয় পুজো। ষষ্ঠীর দিন বোধন, সপ্তমীর নবপত্রিকা স্নান ও ঘট প্রতিস্থাপন। নিয়ম মেনে অষ্টমীর কুমারী পুজো, সন্ধি পুজো থেকে দশমীর বরণ সবই হয় নিয়ম মেনে এবারও সব নিয়ম মেনে পুজো হবে আর সঙ্গে থাকবে শুদ্ধ সূচি। এবার দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের মন্ত্র মানুষকেও আপন করে নিতে হবে। আর এই লড়াই নিজের মানসিকতার সঙ্গেই অপরাধ নামক অসুরের দমন করে নিজেকেই শুদ্ধ করে তুলতে হবে। এই থিমেই মণ্ডপ সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী পাপাই সাঁতরা। মায়ের প্রতিমায় থাকছে শিল্পী সনাতন পালের ছোঁয়া।
শহর থেকে জেলা, সর্বত্রই পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। কলকাতার বেশিরভাগ জায়গাতেই রয়েছে থিমের ছোঁয়া। একেক থিম ভাবনায় সেজে উঠেছে তাবড় তাবড় পুজো। দুর্গাপুজো দিয়েই মানুষের কাছে বিশেষ বার্তা তুলে ধরছেন পুজো উদ্যোক্তারা। সিকদার বাগানেরও এই থিম ভাবনাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন অনেকেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম