Malda: স্কুলের শতবার্ষিকী উদযাপনে হিন্দি গানের আসর! ভাইরাল বেপরোয়া নাচ-গানের ভিডিও

।। প্রথম কলকাতা ।।

Malda: স্কুলের শত বর্ষের অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা ছাত্র-ছাত্রী। হিন্দি গানের (Hindi Song) তালে স্কুলের মাঠে নেচে রীতিমতো ধুলো ওড়ালেন তাঁরা। স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (Cultural Program) বাতিল করে হিন্দি গানের আসর বসানো হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে সরব অভিভাবকরা। এই ধরনের একটি ছবি ধরা পড়েছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল হাই স্কুলে। ইতিমধ্যেই ওইদিনের বেশ কয়েকটি ভিডিও এসেছে প্রকাশ্যে। যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি, কোনরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি। তবে প্রাক্তনীদের অনুরোধে এবং তাদের খরচেই স্কুলে অনুষ্ঠান করা হয় আর তাতে কয়েকটি হিন্দি গান গাওয়া হয়।

জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি ভিঙ্গল হাই স্কুলের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের কর্মসূচি আগেই হ্যান্ডবিলে (Handbill) ছাপানো হয় এবং পড়ুয়াদের মধ্যেও বিলি করা হয়েছিল। ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গীত এবং নৃত্যানুষ্ঠানের কথা ছিল। যার জন্য তাঁরা বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই মহড়া দিয়ে চলেছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিনে হঠাৎই সেই সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বাতিল (Cancelled School Cultural Program) করে দেওয়া হয়। তার জায়গায় বসানো হয় হিন্দি গানের আসর। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন ওই স্কুলের পড়ুয়া এক ছাত্রীর অভিভাবক। পরবর্তীতে অভিভাবক মৃত্যুঞ্জয় দাস প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান।

পাশাপাশি এটাও অভিযোগ তোলা হয় যে, সরস্বতী পুজোয় খাওয়ানোর জন্য আলাদা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই খাওয়ানো হয় মিড ডে মিলের খরচেই। এছাড়াও মিড ডে মিল নিয়ে একাধিক অভিযোগ তোলেন তিনি । যদিও অভিযোগকারীর এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্র প্রসাদ সাহা। তাঁর দাবি, বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন কৃতি ছাত্র পুলিশের উচ্চপদে রয়েছেন। তাঁর উদ্যোগে কয়েকটা হিন্দি গান হয়েছিল ওইদিন। সেখানে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। কোনরকম অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি। আর এই অনুষ্ঠানের খরচ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের অনুদান থেকেই হয়। এলাকাবাসীদের দাবি, স্কুলের অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করতে পারেনি। যা তাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। কাজেই বিষয়টি স্কুলের সংস্কৃতি এবং গরিমা নষ্ট করার মতোই , যা আটকানো উচিত ছিল প্রধান শিক্ষকের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version