রাশিয়াকে জোর ধাক্কা সৌদির, টার্গেট পূরণে বড় ষড়যন্ত্রের ছক! মুনাফা লুটবে ইউক্রেন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

সৌদির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে ভাঙন? কেন রাশিয়ার শত্রু ইউক্রেনের জন্য এতো করছে সৌদি? কী চাইছে দেশটা? পুতিন কোথায়? সৌদির শান্তি সম্মেলনে ইউক্রেন ডাক পেয়ে গেল। কোথায় তলিয়ে যাচ্ছে মস্কো? চেনা সমীকরণ পাল্টে যাচ্ছে। ইউক্রেনের সাথে আর কারা অংশ নিচ্ছে ওই সম্মেলনে? বড়সড় ষড়যন্ত্রের ছক?
লাভের মুখ দেখবে ইউক্রেন। কিন্তু কী দোষ করলো মস্কো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? খালি চোখে গোটা বিশ্ব দেখছে, ওপেক প্লাস জোট ভুক্ত দেশ রাশিয়া এবং সৌদির মধ্যে বেশ উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে। কিন্তু, আগস্টে যা ঘটতে চলেছে তাতে জানা বোঝার সব হিসেব পাল্টে যেতে পারে। কি এমন হলো? হঠাৎ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সৌদি আরব? কেন এতো জল্পনা?

আসলে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনের পক্ষে শান্তি সম্মেলনের আয়োজক সৌদি আরবই। দেশটা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আগামী আগস্ট মাসে একটি শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করছে। অদ্ভুতভাবে, এতে ইউক্রেন, তার পশ্চিমা মিত্র, ভারত, ব্রাজিল সহ আরও বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশকে অলরেডি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এই শান্তি সম্মেলনে ডাকা হয়নি রাশিয়াকে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের দরকষাকষির উপায়ে খুজে বের করতেই এই আয়োজন বলে জানা গেছে। কিন্তু, যখন চলমান এই যুদ্ধে আরব দেশগুলো মস্কোর সঙ্গে তাদের সামরিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের কারণে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে, 180 ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সৌদি আরব কেন ইউক্রেনের জন্য শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করছে? কেনই বা রাশিয়াকে সেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হলো না? অবশ্যই এটা এখন বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

যদিও ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের প্রত্যাশা, রাশিয়া না থাকায় শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউক্রেনের অনুকূলে আন্তর্জাতিক সমর্থন মিলবে। শান্তি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ইউক্রেন লাভবান হবে। কিন্তু, বিশেষ আশার আলো দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রধান অংশীদার রাশিয়াকে বাদ দিয়ে আয়োজিত শান্তি সম্মেলন মোটেই ফলপ্রসূ হবে না। যদিও এই সম্মেলন নিয়ে এখনো পর্যন্ত অফিসিয়ালি সৌদি আরব ও ইউক্রেন কেউই কিছু জানায়নি। তবে, জানা যাচ্ছে আগামী ৫ ও ৬ আগস্ট জেদ্দায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইন্দোনেশিয়া, মিশর, মেক্সিকো, চিলি, জাম্বিয়া সহ ৩০টি দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করতে পারেন।

এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, পোল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো যোগদানের বিষয়টা নিশ্চিত করেছে। এছাড়া এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উপস্থিত থাকতে পারেন। গোটা বিশ্বের নজর থাকবে এই সম্মেলনের দিকে। কারণ, গত বছর যুদ্ধ শুরুর পর ৫০০ দিন অতিক্রান্ত। ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের ছয় ভাগের এক ভাগ দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, নতুন বাস্তবতা কিয়েভ মেনে নিলেই শান্তি আলোচনা সম্ভব। তবে কিয়েভ বলছে, ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার করার পরই তারা আলোচনার টেবিলে বসবে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, সৌদি আরব আয়োজিত এই শান্তি সম্মেলন এর পরিণতি কি হবে সেটাই দেখার অপেক্ষা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version