Bollywood: শর্মিলার কারণেই ভেঙেছিল সইফ-অমৃতার বিয়ে? ডিভোর্সের এতবছর পর মুখ খুললেন সারা

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Bollywood: করিনার সাথে সম্পর্ক তো ভালোই, কিন্তু প্রাক্তন পুত্রবধূ অমৃতা সঙ্গে শর্মিলার সম্পর্ক কেমন? সইফের চেয়ে বয়সে বড় অমৃতাকে কি মেনে নিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী? অমৃতা কি শাশুড়ি শর্মিলা ঠাকুরের মন জিততে পেরেছিলেন? নেটিজেনরা তো বলেন সইফের ডিভোর্সের কলকাঠি নাড়েন শর্মিলাই। সত্যিই কি তাই? এবার কোনও রাখঢাক না রেখেই পতৌদি প্যালেসের গোপন রহস্য ফাঁস করলেন সারা আলি খান।

 

বলিউডে আত্মপ্রকাশ করার আগেই সংসার পেতেছিলেন সইফ আলি খান। মাত্র ২১ বছর বয়সেই বিয়ে করেছিলেন অমৃতাকে। শোনা যায় তখন অমৃতার বয়স ছিল ৩৩ বছর। হ্যাঁ, ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন তারা। বয়সের ব্যবধান তখন সত্যিই চোখে পড়েনি। শোনা যায়, বাবা মাকে লুকিয়ে বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন সইফ-অমৃতা।

 

যদিও সেই সম্পর্কের মেয়াদ ছিল মাত্র দেড় দশক। বিয়ের দেড় দশক পর আর ১২ বছরের বড় অমৃতার সাথে অ্যাডজাস্ট হয়নি সইফের। এক ঝটকায় ভাঙেন সংসার। তবে নেটিজেনরা তো বলেন, আসল অ্যাডজাস্টমেন্ট তো হয়নি শর্মিলার। শাশুড়ির কারণেই নাকি পতৌদি প্যালেস ছাড়তে বাধ্য হন অমৃতা। সত্যিই কি তাই?

 

আসলে সমাজ মাধ্যমে এই প্রশ্নটা প্রায়শই ঘুরে বেড়ায়। যখনই মানুষ করিনা ও শর্মিলাকে একসাথে হ্যাং আউট করতে দেখে তখনই উঠে আসে অমৃতার কথা। প্রশ্ন ওঠে, করিনার সাথে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক হলে অমৃতার সাথে হলনা কেন? নেটিজেনরা তো বলেন, বেচারি অমৃতার নাকি কপালটাই খারাপ। শর্মিলার কারণেই নাকি তার সংসারটা ভেঙে গেল। আসলে বয়সে বড় মেয়েকে ছেলের বউ হিসেবে কোনোদিনই মানতে পারেননি শর্মিলা। আর এবার এই বিষয়টা নিয়েই মুখ খুলেছেন সারা আলি খান।

 

ডিভোর্সের পর থেকে সারা এবং ইব্রাহিমকে একা হাতেই মানুষ করেছেন অমৃতা। দুই সন্তানের মুখ চেয়ে আর বিয়েও করেননি তিনি। যে কারণে মায়ের স্ট্রাগলটা সারা বেশ কাছ থেকেই দেখেছেন। তার মা রোজ কতটা কষ্ট করেছেন সেই সবটাই নিজের চোখে দেখেছেন সারা। তবে প্রশ্ন হল তিনিও কি বাকিদের মত ঠাকুমাকেই দোষী মনে করেন? তারও কী মনে হয়, তার বাবা মায়ের বিচ্ছেদের জন্য ঠাকুমা শর্মিলাই দায়ি? এত বছর পর মা ও ঠাকুমার সম্পর্কের সমীকরণটা ঠিক কেমন? আর এবার সবটাই জানালেন সইফ-কন্যা সারা।

 

নাহ্, সারার মনে ঠাকুমাকে নিয়ে কোনও বিদ্বেষ নেই। বরং কৃতজ্ঞতাই ঝরে পড়েছে অভিনেত্রীর গলায়। বেশ দরাজ কন্ঠেই সারা বলেন, ‘আমার মায়ের বাবা-মা গত হয়েছেন। কিন্তু কখনও আমাদের কোনও কিছু প্রয়োজন হলে বড় ঠাম্মাকে সব সময় পাশে পেয়েছি। জীবনের অনেক বিষণ্ণ সময় আমার ঠাকুমা ভরসা হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। আসলে সম্পর্কের মূল্যবোধ বুঝতে শিখিয়েছে।’

 

সারার এই মন্তব্য থেকেই অনেককিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। হয়ত প্রথমটা তিনি সত্যিই অমৃতাকে মেনে নিতে পারেননি তবে তাকে অবহেলাও কোনোদিন করেননি। শর্মিলা ঠাকুর তো এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছেলের ডিভোর্সের পর সারা আর ইব্রাহিমকে হারানোর কষ্টটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। যদিও পরে সেই শূণ্যস্থান পূরণ করে তৈমুর এবং জেহ। আর এখন তো করিনার সাথেও দারুন সম্পর্ক সারা আর ইব্রাহিমের। বিয়ের পর থেকেই সারার দিকে ভালো বন্ধু হওয়ার হাত বাড়িয়েছিলেন বেবো।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

 

Exit mobile version