।। প্রথম কলকাতা ।।
Bengali serial: ফাইনালি পুলিশের জালে রুদ্ররূপ স্যানাল। ফুলকির হাতে জব্দ শয়তান রুদ্র। এখন রাজা বাবুকে ধরতে মরিয়া ফুলকি। জামাইবাবুর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ পেল বড় প্রমাণ। তবে কি এবার রুদ্ররূপের খেলা শেষ? ফুলকি কি পারবে জামাইবাবুর মুখোশ খুলে দিতে? আগামি দিনে কী হতে চলেছে ফুলকিতে? ফুলকিতে এখন চমকের পর চমক। টিভির আগেই দেখে নিন ফুলকির জমজমাট ট্র্যাক।
বাংলার দর্শকরা যে ফুলকিকে দারুণ ভালোবেসে ফেলেছে সেটা তো টিআরপি তালিকাতেই স্পষ্ট। চলতি সপ্তাহেও সেরার তকমা চলে গেছে রোহিত-ফুলকির দখলে। একের পর এক শি’হ’রণ জাগানো পর্ব দেখে খুশি দর্শকরাও। আর এবার সিরিয়ালে যে ট্র্যাক এল, তাতে তো রীতিমত ধামাকা করবে ফুলকি।
আরে রুদ্র ধরা পড়ে গেছে যে। ফুলকির পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে রুদ্র। আর তাতেই হয়েছে বাজিমাত। কিন্তু এরপর? রুদ্র কী স্বীকার করবে তার অপরাধ? আপাতত টানটান উত্তেজনা চলছে ফুলকিতে।
এমনিও এখন প্রতি সপ্তাহেই ফুলকিতে আসছে নতুন নতুন চমক। দিনকয়েক আগেই একবার পুরোদস্তুর নাকানিচুবানি খেয়েছে শালিনী। বুমেরাং হয়ে ফিরেছে শাকচুন্নি ম্যাডামের পাতা ফাঁদ। আর এবার জল গড়িয়েছে বড় মাছ রুদ্র অবধি। এই মুহূর্তে রাজা বাবুকে ধরার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ফুলকি। নামকরা ক্রিমিনাল সে। রোহিতের কেরিয়ারটাও শেষ হয়েছিল তারই কারণে।
ফুলকির সন্দেহ এই রাজাবাবুর সাথে যোগাযোগ রয়েছে রুদ্রর। তার দেওয়া টিপ ধরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কল ট্রেস করে পুলিশ জানতে পেরেছে এই কল এসেছিল রুদ্ররূপ স্যানালের অফিসের আশপাশ থেকেই। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে রুদ্রকে। তাও আবার যে সে পুলিশ নয়। ঘটনায় তদন্ত করছে খোদ দিল্লি পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
তাহলেই ভাবুন যে, শালিনীর এবার কী হবে? খবর শুনেই তো শালিনীর হাল খারাপ। কারণ রুদ্র ধরা পড়লে তার নামটাও যে উঠে আসবেই আসবে। কী? ফুলকির নয়া ট্র্যাক জমজমাট নয়? যদিও রুদ্র কিন্তু গভীর জলের মাছ। সে ভাঙবে তবু মচকাবেনা। ইতিমধ্যেই পুলিশের সামনে শুরু হয়ে গেছে তার ছল চাতুরি। সে যে নির্দোষ সেটা প্রমাণ করার কোনও কসরতই আর বাকি রাখছেনা সে। তবে ফুলকিও কি কম নাকি?
রুদ্রকে দোষী প্রমাণ করতে নিজের জীবনের বাজি লাগিয়ে দিয়েছে ফুলকি। অবাক করা বিষয় হল, তার এই লড়াইয়ে সাথে দিচ্ছে লাবুও। অনেকেই মনে করছিল, বাবুকে হয়ত নরম সরমই দেখাবে নির্মাতারা। হয়ত বা রুদ্রকে ধরে নিয়ে যেতে দেখে ভেঙে পড়বে সে। হ্যাঁ, ভেঙে পড়েছে ঠিক কথা তবে এতটাও নয়। উল্টে সে তো চায় রুদ্রকে যেন কেউ বাড়তি সাহায্য না করে। রুদ্র যদি দোষী হয় তাহলে তার প্রাপ্য শাস্তি যেন সে পায়। এখন প্রশ্ন তো এটাই, রুদ্ররূপ স্যানালের মুখোশ কি খুলবে? নাকি প্রতিবারের মত এবারেও আড়ালেই থেকে যাবে রুদ্রর নোংরা চেহারা? এই উত্তরটা তো দেবে সময়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম