মালদ্বীপ থেকে PLA আর্মি হঠাও! নয়া প্রেসিডেন্ট মইজ্জুর পাল্টি খেলেন, ভারতের কোন মাস্টারস্ট্রোক ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

মালদ্বীপ থেকে উৎখাত হবে চীনের PLA আর্মি। নয়া প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে শি জিনপিংয়ের কুর্সি নড়ছে। দিল্লি যেতে যেতেও কোন মাস্টারস্ট্রোক দিল ছোট্ট দেশটায়? মইজ্জুর চালাকিতে চটে যেতে পারে চীন। যে কথা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলছেন সেটাই তিনি করবেন তো? ভারতীয় সেনাকে সরাতে গিয়ে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব কেন? মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের শপথে যাবেন না নরেন্দ্র মোদী বড় আপডেট আসছে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্র থেকে। ক্ষমতায় এলে মালদ্বীপ থেকে সবথেকে প্রথমে সরাবো ইন্ডিয়ান আর্মিকে। ঠিক এই স্লোগান দিয়েই পূর্ব প্রেসিডেন্ট সলিহকে নির্বাচনে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন মহম্মদ মইজ্জু। ক্ষমতায় আসার পরও প্রথমেই করেছিলেন সেই ঘোষণাই কিন্তু যে কথা তিনি বলেননি এবার মইজ্জু সেটাও করতে চলেছেন।

গত বেশ কয়েক বছর ধরে মালদ্বীপের এক্সক্লুসিভ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সেনার ৭০-৭৫ জন জওয়ান। ২০১০ ও ২০১৩ সালে ভারত মালদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিল। এরপর ২০২০ সালে তাদের একটি ছোট এয়ারক্র্যাফট-ও দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, মালদ্বীপে উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযান চালাতে এবং আপদকালীন মেডিকেল ইভ্যাকুয়েশনে এগুলো ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে সেখানে মোতায়েন রয়েছে পিএলএ আর্মিও। মইজ্জুর দাবি তিনি চান না তাদের দেশে অন্য কোনও দেশের আর্মিই থাকুক কিন্তু কেন? প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে দিয়ে যে জাহাজ চলাচলের রুট বা শিপিং লাইনগুলো আছে তার মাঝামাঝি খুব স্ট্র্যাটেজিক অবস্থানে থাকা মালদ্বীপে। নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে ভারত ও চীন সবসময় চেষ্টা চালিয়েছে। আর এই মালদ্বীপেই আসলে দীর্ঘকাল ধরেই ভারতের প্রভাব বলয়ে ছিল। মালদ্বীপে উপস্থিতি থাকার ফলে দিল্লিও ভারত মহাসাগরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশে তাদের নজরদারি বা মনিটরিং জারি রাখতে পেরেছে।এদিকে চীনও কিন্তু কোনও শর্ত ছাড়াই মালদ্বীপে টাকা ঢেলেছে।

চীন মালদ্বীপের যে মেগা-প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করছে। তার অন্যতম হল ২.১ কিলোমিটার লম্বা একটি চার লেনের সেতু। যা রাজধানী মালের সঙ্গে পাশের একটি অন্য দ্বীপে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সংযুক্ত করছে। কিন্তু কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি চীনকে নিয়ে বর্তমানে মইজ্জু যা বলছেন সেটা লোক দেখানোও হতে পারে। কারণ শুরু থেকে তিনি চীনপন্থী নেতা হিসেবেই পরিচিত। যদিও মইজ্জুর দাবি তিনি আসলে মালদ্বীপপন্থী তারা সমস্ত দেশ, ভারত, চিন এবং অন্যান্য সমস্ত দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আবার এটাও হতে পারে মইজ্জু চাইছেন না ভারত-চীন দ্বন্দ্বে মালদ্বীপের মতো ছোট্ট দেশ জড়িয়ে যাক। এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ মুইজুর সাফ কথা ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়ার জন্য মালদ্বীপ খুবই ছোট। ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের অবস্থান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ সে কথা অস্বীকার না করলেও এই বিষয়ে মউজুর মন্তব্য আমি এই বিষয়ে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র নীতিকে জড়াতে আগ্রহী নই।

এদিকে জানা যাচ্ছে দিন সাতেক আগে মইজ্জু নিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজুজু শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা অবশ্য কেন প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন না সেই সিদ্ধান্তের কোনও ব্যাখ্যা দেননি। মন্ত্রক বলেছে ভারতের বিদেশ নীতির এই অবস্থান
মালদ্বীপের প্রতিও সমানভাবে প্রযোজ্য। ভারত প্রত্যাশা করে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। এবার দেখার মইজ্জু যে কথা মুখে বলছেন চীনের ক্ষেত্রে সে কাজ তিনি বাস্তবে করে দেখান কিনা!

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version