Shraddha Kapoor: সলমন খানকে প্রত্যাখান, উচ্চমাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর। চমকে দেবে শ্রদ্ধা কাপুরের গল্প

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Shraddha Kapoor: উচ্চমাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর। দারুণ ফুটবলও খেলতেন শ্রদ্ধা। ১৬ বছর বসিয়ে ফিরিয়েছিলেন সলমনের প্রস্তাব। হাত খরচ জোগাড় করতে কাজ করতেন কফি শপে। সেই শ্রদ্ধা আজ কয়েকশো কোটির মালকিন। বাবার টাকায় নয়, কেরিয়ার তৈরি করেছেন নিজের দমে। শ্রদ্ধা কাপুরের জীবনের এই গল্পগুলি জানতেন? শক্তি কন্যার এই কাহিনী শুনলে অবাক হবেন।

 

বলিউডের অন্যান্য স্টারকিডদের চেয়ে অনেকটাই আলাদা তিনি। না কোনও কন্ট্রোভার্সি, না কোনও গসিপ‌। একেবারে মাটির মানুষ যেন। অভিনয় তো বটেই, সেই সাথে পড়াশোনাতেও তুখোড় শ্রদ্ধা কাপুর। ৯৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন তিনি। কী চমকে উঠলেন? তাহলে বলি চমকের তো এখনও বাকি আছে।

 

ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হবেন। সেই মত যোগ দিয়েছিলেন নাটকেও। সেই নাটক দেখে ফিদা হয়ে গেছিলেন খোদ সলমন খান। ছবির অফারও দিয়েছিলেন শ্রদ্ধাকে। তবে শ্রদ্ধার বয়স তখন সবে ১৬। তাছাড়া পড়াশোনাটা তখন এতটাই ভালোবাসতেন যে, সলমনকে এককথায় না করে দেন।

 

শুনতেই অবাক লাগছে তাই না? ভাইজানের হাত লঞ্চ হবার জন্য কত স্টারকিড লাইন দিয়ে আছে তার ইয়ত্তা নেই। সেখানে শ্রদ্ধা কি না এক কথায় না করে দিলেন। তাহলেই ভাবুন, পড়াশোনার প্রতি তার ডেডিকেশনটা কেমন ছিল।

 

তবে কেবল পড়াশোনা নয়, পাশাপাশি নাচ, গান, ড্রামা, সবেতেই তিনি পারদর্শী। স্কুলে পড়ার সময় ফুটবলও খেলতেন। তবে শ্রদ্ধা কখনোই নিজের বাবার পরিচয়কে কাজে লাগাতে চাননি। উঠেছেন, পড়েছেন আর সেখান থেকেই শিখেছেন। খুব বড় ব্যানারে ডেবিউ-ও করেননি। আর পাঁচটা আউট সাইডারের মতই স্ট্রাগল করেছেন। কেরিয়ারের শুরুর দুটো ছবির তো নামটাও অনেকে জানেনা।

 

জেনে অবাক হবেন, বস্টনে পড়াশোনা করার সময় টাকার জন্য কফিশপেও কাজ করেছেন শ্রদ্ধা। না না, অভাব নয়। বরং বাবার থেকে টাকা নেবেন না এই জেদেই এই কাজ করেছিলেন তিনি। শ্রদ্ধার ইচ্ছে ছিল অন্তত হাত খরচের টাকাটা তিনি নিজেই জোগাড় করবেন। কোটিপতি বাবার সন্তান হয়েও এভাবে কয়জন ভাবতে পারে বলুন তো?

 

কেরিয়ারেই শুরুতেই কিন্তু সাফল্য পাননি শ্রদ্ধা। প্রথম ছবি ‘তিন পাত্তি’তে তো কারোর নজরেই পড়েননি তিনি। এই ছবিতে অমিতাভ বচ্চন, আর মাধবন, রাইমা সেনের সাথে একটা পার্শ্বচরিত্রে দেখা গেছিল তাকে। সেই সময় তো অনেকে জানতইনা যে, তিনি শক্তি কাপুরের মেয়ে। এরপর ২০১১ সালে ‘লাভ কা দ্য এন্ড’ বলে একটা ছবি এসেছিল। সেই ছবিতে প্রথম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন শ্রদ্ধা। কিন্তু এবারও ভাগ্যের শিকে ছিঁড়লনা। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিটি। শক্তি-কন্যার পরিচয় বলিপাড়ায় তৈরি হয় না তখনও। তবে এর ঠিক তিন বছর পর পুরো নকশাই বদলে যায়।

 

শ্রদ্ধার কাছে আসে আইকনিক ছবি ‘আশিকি ২’র অফার। যে ছবির গান, গল্প আজও দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। আদিত্য-শ্রদ্ধার জুটি হয়ে যায় রাতারাতি হিট। এই একটা ছবির দৌলতেই এক লাফে সাফল্য ছুঁয়ে ফেলেন শ্রদ্ধা। আদিত্য রয় কাপুরও রাতারাতি স্টার হয়ে ওঠেন। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের দুজনকেই। এখন তো শ্রদ্ধা ব্যবসাতেও হাত পাঠিয়েছেন।

 

বলিপাড়ার কানাঘুষা, ‘আশিকি ২’তে কাজ করতে গিয়েই একে অপরকে মন দিয়ে বসেন শ্রদ্ধা এবং আদিত্য। যদিও সম্পর্কের কথা দুই তারকার কেউই স্বীকার করেননি।
তবে নেটিজেনদের চোখ কি এড়ানো যায়? যদিও খুব বেশিদিন টেকেনি এই সম্পর্ক। তবে ভক্তরা ভরপুর ভালোবাসা দিয়েছিল এই জুটিকে। মানুষ তো আজও তাদের একসাথে দেখার জন্য মরিয়া।

 

https://fb.watch/t3Zx8Bwj9Z/

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version