Suchitra Sen: রাখী গুলজারের সংসার ভেঙেছিল সুচিত্রা সেনের কারণেই, ঘটনা শুনলে চমকে উঠবেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Suchitra Sen: মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কারণেই ভেঙেছিল রাখীর সংসার। সুচিত্রার সঙ্গে স্বামী গুলজারের ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি রাখী। প্রশ্ন তুলতেই জুটেছিল চরম অপমান। মহানায়িকার জীবনের এই কাহিনী আপনি জানতেন? সুচিত্রা সেনের জন্যই নাকি রাখীর সাথে চরম বেয়াদবি করেছিলেন গুলজার। এক কথায় ছেড়েছিলেন ঘর, ভেঙে যায় সংসার। আর এর নেপথ্যে নাকি ছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। কীভাবে? আজকে শোনাবো বলিউড সেই গোপন কেচ্ছা কাহিনী।

 

সত্তরের দশকে রূপোলি পর্দা থেকে ফিল্মি পত্রিকা, সব জায়গাতেই গুলজার আর রাখীর প্রেমকাহিনী ছিল সুপারহিট। তবে মেয়ের জন্ম হতেই চিত্রটা অনেকটা বদলে যায়। অপমান, দুর্ব্যবহার নাকি তখন ছিল জলভাত। আর এমনই একটা সময়ে তারকা দম্পত্তির মাঝে ঢুকে পড়েন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তিনি এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল রাখীর সংসারে।

 

ভাবছেন, মহানায়িকা আবার কবে রাখী-গুলজারের মধ্যে ঢুকে গেল? অনেকেরই মনে হতে পারে যে, এটা হয়ত গুজব। উহঃ, এটা কিন্তু একেবারেই সত্যি।

 

ঘটনাটি ‘আঁধি’ ছবির শুটিংয়ের সময়কার। রাখী এই ছবিতে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। তবে গুলজার স্ত্রীকে পাত্তা না দিয়ে কাস্ট করেন সুচিত্রা সেনকে। ছবিতে ছিলেন সঞ্জীব কুমারও। শুটিংয়ের জন্য গোটা টিম পৌঁছে যায় কাশ্মীর। বাকিদের পাশাপাশি স্ত্রী রাখিকেও কাশ্মীরে নিয়ে গেছিলেন গুলজার। আর সেখানেই ঘটে যায় বড় অঘটন।

 

শোনা যায়, শুটিং শেষে এক মস্ত পার্টির আয়োজন করেছিলেন পরিচালক। চলছিল মদের ফোয়ারা। এটা হয়ত আপনিও শুনে থাকবেন যে, একবার পেটে মদ পড়লে সঞ্জীব কুমারের চরিত্রই বদলে যেত। সেদিনও তাই হল। মাতাল সঞ্জীব আর নিজেকে সামলাতে না পেরে সুচিত্রার হাত ধরে টানাটানি করে এক যাচ্ছেতাই অবস্থা। সুচিত্রাও নাকি জোরে চেঁচিয়ে ওঠেন। শেষমেষ গুলজারই মিসেস সেনকে বাঁচিয়ে তার রুমের দিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাতেই ঘটে যায় চরম বিপত্তি। আপনি ভাবতেও পারবেননা ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন‌।

 

গুলজার সুচিত্রার ঘর থেকে বেরোতেই দেখলেন সামনে রাখি দাঁড়িয়ে ক্রুদ্ধ মূর্তিতে। ব্যাস আর যায় কোথায়? শোনা যায় সেইদিন রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গোটা হোটেল মাথায় তুলেছিলেন নায়িকা। ঘরে গিয়ে গুলজারকে প্রশ্ন করেন, “সুন্দরী নায়িকা কি আমার চেয়েও তোমার কাছে বড়? কেন তাকে তাঁর ঘরে তোমাকেই পৌঁছে দিতে হয়? সুচিত্রা সেনের মন ভাল না হওয়া পর্যন্ত একলা ফেলে আসতে পারো না? ও তোমার কে? আমি তাহলে কী?”

 

আর তাতেই রেগে যান গুলজার। এই দুঃসাহসের জন্য রাখির কপালে জুটেছিল দুর্ভোগ। এই অসম্মান রাখী মেনে নিতে পারেননি। এক কথায় বেরিয়ে এসেছিলেন। যদিও এই ঘটনায় মহানায়িকার প্রত্যক্ষ কোনও ভূমিকা ছিলনা। তবুও অজান্তে তিনিই রাখীর ঘর ভাঙার কারণ হয়ে যান। তবে নেটিজেনরা তো বলেন, এতে আখেরে রাখীর লাভই হয়েছিল। রক্ষণশীল গুলজারের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল রাখীর জীবন। এই ঘটনার পরই নাকি মুক্তি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী।

https://fb.watch/sr-SG423rn/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version