NEET 2024: পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন, নিট বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নামল বাংলা জাতীয় পরিষদ

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

 

NEET 2024: নিট বাতিল (NEET 2024), বাংলায় রেলে সমস্ত কর্মচারী বাঙালি চাই সহ একাধিক দাবিতে পথে নামল জাতীয় বাংলা পরিষদ। বাঙালিদের অধিকারের দাবিতে সরব হলেন সংগঠনের সদস্যরা। যার প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় বাংলা পরিষদের সভাপতি চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস।

 

চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “যারা প্রশ্নপত্র জেনে পরীক্ষা দেয় তারা চুরিই করছে। এই চোর ডাকাতদের বাংলায় আসা বন্ধ করতে হবে। জয়েন্ট এন্ট্রাস ফেরত দিতে হবে। নিট বাতিল করতে হবে। ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এটা বিস্মিত হওয়ার মত ঘটনা। নিটের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হলো নির্বাচনের দিন। যাতে এটা নিয়ে কেউ ধরতে না পারে”।

 

তিনি আরও বলেন, “যাদের প্রতিভা আছে, মেধা আছে তারা বাদ চলে যাচ্ছে। আর জায়গাটা হয়ে যাচ্ছে বৃত্তশালীদের জন্য। পয়সা দিয়ে প্রশ্নপত্র জেনে, চুরি করে ডাক্তারিতে ঢুকবে। ভয়ের বিষয় হলো ডাক্তার তারা হলো। তারপর এমবিবিএস, পোস্টগ্রাজুয়েট, এমবি, এমএস করবে চুরি করে। তারপর সাধারণ মানুষকে লুটবে। কারণ বাবার দেওয়া টাকাটা তো ফেরত দিতে হবে। এই জায়গাটিকেই আটকাতে হবে।

 

এখানে সবথেকে ভয়ের বিষয় বহিরাগতদের প্রবেশ। বাঙালি ডাক্তার কমে যাবে আর বহিরাগতরা চুরি করে এখানে ঢুকবে ডাক্তারি করতে। সাধারণ মানুষকে লুট করে চলে যাবে। নয়তো হোটেল বানিয়ে এখানে থেকে যাবে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা বাংলার ডাক্তার চাই। বাঙালি ডাক্তার চাই। রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে আলোড়ন তোলার দাবি করেন তিনি”।

 

প্রসঙ্গত, নিট ২০২৪ শুরু হওয়ার পর থেকেই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়। সমগ্র দেশব্যাপী নিট পরীক্ষা আয়োজিত হলেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলেই দাবি তোলা হয়। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয় শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের দাবিতে থেমে থাকেনি, এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)-এর তরফে জল্পনা বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমগ্র ভারত জুড়ে ৬৭ জন ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষার ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার বিষয়টি প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালছে।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

 

 

 

 

Exit mobile version