কাতারের বেইমানি ভারতের সঙ্গে! ভাত জুগিয়েছিল দিল্লিই, কেন ৮ অফিসারকে চরম শাস্তি? নেপথ্য ISIS

।। প্রথম কলকাতা ।।

কাতার বড় বেইমানি করে দিল ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই দেখানো পথেই চলছে কাতার? খাদ্য সংকট থেকে এই কাতারকেই বাঁচিয়েছিল ভারত। ৮ নেভি অফিসারকে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ কাতারের কেন কী অপরাধ ছিল তাদের? ভারতের ৮ প্রাক্তন নেভি অফিসারকে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে কাতার। কেন মৃত্যুদণ্ডের মতো সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হল ওই আট ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্মীকে? কী এমন অপরাধ করেছিলেন তাঁরা? কাতারের এমন নির্দেশের পর ফোকাসে এবার আইএসআই। ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই বলছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বি দেশ কাতার কি এখন পাকিস্তানের দেখানো পথে চলছে? নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ কিন্তু মনে রাখতে হবে এই কাতারকেই দুর্দিনে বাঁচিয়ে ছিল ভারতের সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিক সম্পর্ক কি বিগড়ে গেল তাহলে? দিল্লি কী কড়া বার্তা দিল? বিস্তারিত আজকের রিপোর্টে।

২০২২ সালের ৩০ অগস্ট কাতারে গ্রেফতার করা হয় ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন আট কর্মীকে। এরা হলেন কম্যান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কম্যান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কম্যান্ডার অমিত নাগপাল, কম্যান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা, ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ ও নাবিক রাগেশ গোপাকুমার। এরা সকলেই প্রায় ২০ বছর ধরে ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু তারা কাতারে কি করছিলেন? আর কাতারকে পাকিস্তানই বা কি মন্ত্রণা দিল? ওই আট ভারতীয়ই কাতারের দোহায় দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজি অ্যান্ড কনসাল্টেন্সি সার্ভিস নামক একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। মূলত কাতারের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিল এই সংস্থা। ভারত সরকার সূত্রে দাবি ওই আটজন প্রাক্তন নৌসেনার কর্মীকে কী কারণে কাতার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও তথ্য জানানো হয়নি। এক্ষেত্রে কাতার বলছে অভিযুক্তরা অত্যন্ত গোপনীয় ও সংবেদনশীল প্রজেক্টে কাজ করছিলেন। ইটালিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি সাবমেরিন তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা। এই সাবমেরিন কাতারের নৌসেনা ব্যবহার করে ওই প্রকল্পে কাজ করার সময়ই গুপ্তচরবৃত্তি করেন অভিযুক্ত আট ভারতীয়, এমনটাই অভিযোগ। ভারত কি আটকাতে পারবে তাদের মৃত্যুদন্ড?

বিশেষজ্ঞদের দাবি এই ৮ অফিসার গ্রেফতার হওয়ার পর
সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান প্রচার করা শুরু করে যে ভারতের ৮ অফিসার ইজরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে। শুধু তাই নয় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণার পরই তাঁদের নিয়ে একটি কাল্পনিক কাহিনি প্রকাশ করে পাকিস্তানের জনপ্রিয় ইংরেজি সংবাদমাধ্য়ম ‘দ্য় এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’। প্রতিবেদনটির শিরোনামে লেখা ছিল ‘কাতারে বন্দি ভারতীয় গুপ্তচরদের মৃত্যুদণ্ডের সূচনা’।দিল্লির দাবি পাকিস্তান এই সুযোগে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। কারণ কাতারের কাছে কোনও সুস্পষ্ট কারণ নেই কেন এই ৮ প্রাক্তন অফিসারকে এমন দন্ড দেওয়া হল। কূটনৈতিক মহলের দাবি ২০১৭ সালে বাহরাইন, মিশর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-এর মত ইসলামি রাষ্ট্রগুলি কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে তার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।

এ কারণে কাতারকে চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সেই সময়। দেখা দিয়েছিল দেশটায় চরম খাদ্য সংকট তখন কাতারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারতই ‘ভারত-কাতার এক্সপ্রেস সার্ভিস’ নামে একটি সমুদ্র সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে কাতারকে সাহায্য করেছিল ভারত সরকার ফলে দূর্ভীক্ষের হাত থেকে বেঁচে যায় কাতার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কাতারের উপর রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করে। নাগরিকদের মৃত্যুদন্ড থেকে রক্ষা করতে পারে ভারত কাতারের আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আন্তর্জাতিক কোর্টে যেতে পারে ভারত। মিলেছে ইঙ্গিত সেক্ষেত্রে সাহায্য নেওয়া হতে পারে জাতিসংঘেরও এবার দেখার নয়া দিল্লি ঠিক কোন স্টেপ নেয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version