কাতারে কাতারে আমেরিকান ফোর্স ইহুদী ভূমিতে ? মেপে পা বাইডেনের, বড় বিপদ সংকেত

।। প্রথম কলকাতা ।।

ইসরাইলের মাটিতে মেপে জড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার কি কাতারে কাতারে আমেরিকান সেনা ঢুকবে ইহুদী ভূমিতে? হামাসকে পঙ্গু করে দিতে কী পাঠাচ্ছেন বাইডেন? এবার হবে শেয়ানে শেয়ানে টক্কর। ইসরায়েলকে রক্ষা করতে কতদূর যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র? মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে কোন ঝড়ের সংকেত? এটাই তবে আসল চেহারা আমেরিকার? ইসরাইলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ খুলে গেল? যাকে বলে একেবারে গলা গলায় ভাব। তাহলে সবটাই কি দিখাবা? ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভুরি ভুরি অস্ত্র ঢালছে ইহুদী ভূমিতে। যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতি সমর্থনে কোনো কমতি রাখছে না যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের ‘মরুঝড়’ ঠেকাতে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরাইলের পাশে। কিন্তু সুযোগ বুঝে কোন স্ট্র্যাটেজি নিলো বাইডেনের দেশ?

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যে ইঙ্গিত দিলেন তাতে ইজরাইলের টেনশন বাড়ল বই কমলো না। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন চলমান সংঘাতের মধ্যে গাজা কিংবা ইসরায়েলে মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা বা ইচ্ছা কোনোটাই নেই যুক্তরাষ্ট্রের, তবে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে লড়তে ইসরায়েলকে পরামর্শ, অস্ত্র আর কূটনৈতিক সহায়তা ওয়াশিংটন দিয়ে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্র যে সেফ খেলতে চাইছে সেটা কিন্তু একদম স্পষ্ট হয়ে গেল। ইসরায়েলের নিজেদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে, এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই কিন্তু একইভাবে প্যালেস্টাইনের সুরক্ষা, নিরাপত্তা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সমান মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই যুদ্ধের নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে। গাজার জন্য মানবিক সাহায্য দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে সাফ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে না মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ুক। আর চাইছে না ইরান এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক, এই বিষয়টা কিন্তু অলরেডি ওয়াশিংটন স্পষ্ট করে দিয়েছে।

মনে করিয়ে দিই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। যে যুদ্ধে ইউক্রেন কে পেছন থেকে ফুল সাপোর্ট করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই একটা প্রশ্ন খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কি সত্যিই এখন আরো একটি যুদ্ধে জড়াতে চাইবেন, বিশেষ করে আমেরিকার নির্বাচনের বছরে?বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাডিজ বলছে গাজায় সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব একটা আগ্রহ দেখাবে না। একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে তারা যুদ্ধে জড়াতে চাইবে না। সরাসরি যুদ্ধ জড়ানোটা হবে তাদের “শেষ পদক্ষেপ” বলছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন- দুজনেই দৃঢ়তার সাথে একথাই বলেছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এবং মার্কিন নাগরিক কিংবা সামরিক বাহিনীর উপর অ্যাটাক করা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই সেটার জবাব দেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। অতএব একটা বিষয়ে জলের মতো স্পষ্ট। এখনো পর্যন্ত ইসরাইল হামাস যুদ্ধে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে তাতে কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের তরফে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই। আগামী দিনের যুদ্ধের জল কোন দিকে করাবে সেটার উপরেই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র কি ডিসিশন নেবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version