Ceasefire in Ukraine: ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে পুতিন, গোপনে পাঠালেন মেসেজ! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ceasefire in Ukraine: তাহলে কি অবশেষে সেই দিন চলে এল? যেদিন ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধ থামবে। ২০২২ গেল, ২০২৩ ও শেষ হতে চলল, কিন্তু যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন দিলেন বড়সড় বার্তা। হয়ত এবার থামতে পারে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে গোটা বিশ্ব। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে যুদ্ধরত দুই দেশ। সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তবে তা কতটা কার্যকরী হবে তা এখনো পর্যন্ত শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। এই সম্ভাবনার বার্তা এসেছে পুতিনের তরফ থেকে।

নবভারত টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার লক্ষ্য পরিবর্তন হয়নি। রাশিয়া লড়াই চালিয়ে যাবে এবং তাদের যা আছে তা ছেড়ে দেব না। প্রকাশ্যে, পুতিন ইউক্রেনকে আক্রমণ করছেন বলে মনে হতে পারে, কিন্তু ব্যাক-চ্যানেল কূটনীতির মাধ্যমে তিনি একটি ভিন্ন বার্তা পাঠাচ্ছেন। তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে প্রস্তুত। পুতিন সেপ্টেম্বর থেকে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন যে তিনি যুদ্ধবিরতি চান। যার অধীনে বর্তমান সীমান্তের মতো একই লাইনে লড়াই বন্ধ করা হবে। ক্রেমলিন ও আমেরিকার ঘনিষ্ঠ দুই সাবেক রুশ কর্মকর্তা ও মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই আন্তর্জাতিক কর্মকর্তাই পুতিনের বার্তাবাহকদের কাছ থেকে বার্তা পেয়েছেন। যেখানে যুদ্ধবিরতির ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে পুতিন এক বছর আগে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছিলেন। আবারও পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চল নিয়ে সন্তুষ্ট এবং যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত। প্রতিবেদনে অধিকৃত এলাকা নিয়ে আলোচনার কোনো উল্লেখ নেই। যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলে দখলকৃত এলাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হবে কিনা প্রতিবেদনে তারও কোনো ইঙ্গিত নেই। পুতিন তার মন পরিবর্তন করতে পারেন বলেও প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

এই যুদ্ধে ইউক্রেন ক্রমাগত আমেরিকার সাহায্য পেয়ে আসছে। ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এখন আমেরিকাতেও যুদ্ধবিরতির কথা উঠছে। অনেক সংস্থা এবং সাধারণ মানুষ ইউক্রেনে আমেরিকার অব্যাহত অর্থায়নে আপত্তি করছে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের পর প্রায় দুই বছর কেটে গিয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। সেই সময় বিশ্বাস করা হয়েছিল যে এই যুদ্ধ বেশিদিন চলবে না এবং খুব শীঘ্রই রাশিয়ান সেনাবাহিনী ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু তা হয়নি। বিপরীতে, ইউক্রেন ক্রমাগত যুদ্ধ করেছে এবং ক্রমাগত রাশিয়ার মোকাবেলা করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধ এখনো শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version