ইজরায়েলর যুদ্ধে পুতিন-কিমের মারাত্মক কান্ড! ইউক্রেনে বড় হামলা, প্রকাশ্যে রিপোর্ট

।। প্রথম কলকাতা ।।

ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝে ইউক্রেনে হাঙ্গামা। নজর ঘুরতেই পুতিন কত বড় স্টেপ নিলেন? আমেরিকার নজর এড়িয়ে কিম কী পাঠাচ্ছেন মস্কোকে? অনেক কিছু ঘটতে পারে ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝেই। গোটা বিশ্বের হট টপিকই এখন ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ। একের পর এক আপডেট আসছে আর তাতেই ফোকাস করছে বিশ্ব আর এরই কি পুরো ফায়দা তোলা শুরু করল রাশিয়া? ইউক্রেন থেকে একেবারেই ভালো খবর আসছে পুতিন ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন নিয়ে মধ্যস্থতার বার্তা দিচ্ছেন কিন্তু নিজের যুদ্ধে নিচ্ছেন বড় অ্যাকশন। তবে আমেরিকা একটু অসতর্ক হতেই সেই নিষিদ্ধ কাজটা করে ফেলল উত্তর কোরিয়া। যেটার আশঙ্কা এতদিন ধরে করা হচ্ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের সুযোগে রাশিয়াকে অস্ত্র পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। প্রায় হাজারের উপর সামরিক অস্ত্র বোঝাই কন্টেনার পিয়ংইয়ং থেকে গিয়েছে মস্কোতে জানালো হোয়াইট হাউস।

আর সেই অস্ত্র দিয়েই কি এবার ইউক্রেনের ওপর হামলা করে দিল ক্রেমলিন? জানা যাচ্ছে রবিবার গোটা রাত ধরে ইউক্রেনে মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ ফৌজ।
আক্রমণ ও পালটা আক্রমণে এখনও দুদেশের মধ্যে অব্যাহত যুদ্ধের উত্তেজনা। রয়টার্স সূত্রে খবর সোমবার ইউক্রেনের বায়ুসেনার তরফে জানানো হয় রবিবার সারারাত ধরে ৫টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে যার মধ্যে ইউক্রেনের উত্তর ও পূর্ব অঞ্চলে দুটিকে মাঝআকাশে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও ১২টি কামিকাজে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। যদিও দক্ষিণ অঞ্চলে ১১টি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়। এরইমাঝে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন আমেরিকার বিশ্বাস উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন রাশিয়ার অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরির প্রযুক্তির নাগাল পেতে চাইছেন। তাই মস্কোকে সাহায্য করে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করাই তাঁর উদ্দেশ্য।

কিমের থেকে পাওয়া এই অস্ত্রগুলোই রাশিয়া যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে এবিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অস্ত্র বোঝাই কন্টেনারগুলো রাশিয়ার জাহাজে তোলা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে হামাসের আচমকা ইজরায়েল আক্রমণেয়আমেরিকার সমীকরণ জট পাকিয়ে গিয়েছে। সময় থাকতে এই সংঘাতের আগুন না নেভালে তা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়বে হু হু করে। ইরান, লেবানন, সৌদি সবাই একের পর এক ঝাঁপাবে এই পরিস্থিতিতে। স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেন থেকে নজর কিছুটা সরে যাবে। কিয়েভের জন্য আমেরিকা ও পশ্চিম থেকে আসা দেদার অস্ত্রের জোগানেও টান পড়বে। এই ডামাডোলে সুবর্ণ সুযোগ দেখছে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া। এই সময়ের তারা কতটা ফায়দা তুলতে পারে সেটাই দেখার।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version