কিমের সঙ্গে এক হলেন পুতিন-জিনপিং! যুক্তরাষ্ট্রের সামনে অশনি সংকেত, রোখা যাবে মস্কোকে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

কিমের সঙ্গে হাত মেলালেন পুতিন! চীনের বড় খেল আমেরিকার সব হুমকিকে বুড়ো আঙুল। চীনে কেন যাবেন পুতিন? বড় সম্ভাবনা প্রকাশ্যে। এক হয়ে যাবে রুশ ও উত্তর কোরিয়ার সেনা। যুদ্ধের মাঝে এ কোন নয়া মোড়! উত্তর কোরিয়ার বেতাজ বাদশা কিম জং উন এতদিন যা গোপনে করতেন এবার করবেন প্রকাশ্যে। পুতিনকে কোন কারণ হাত মেলাতে হল উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কার সতর্ক থাকা উচিত এবার ইউক্রেন না আমেরিকা? তিনটে খবর এমূহুর্তে বিশ্বকে তোলপাড় করছে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক। চীনও নাকি হাত মেলাবে নতুন শক্তির সঙ্গে এর মানে কী আমেরিকার বিরুদ্ধে এক হবে তিন মাথা কিম-পুতিন-শি। প্রথমত যে খবরটা উঠে আসছে উঃ কোরিয়ার থেকে অস্ত্র কেনার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। তার থেকে বড় খবর কী জানেন? এবার ভ্লাদিমীর পুতিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য মস্কো সফরে যেতে চলেছেন কিম জং উন।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া হুঁশিয়ারির পরই উত্তর কোরিয়া গোপন খবর প্রকাশ্যে আনে যে আমেরিকার হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া গোপনে যোগাযোগ চালাচ্ছে এবং মস্কোকে অস্ত্র বিক্রি করার ডিল সম্ভবত ফাইনাল হয়ে গিয়েছে। আর এসবের মধ্যে বড় একটা মাথা হল বেজিং। ঠিক কীভাবে জানেন? উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন সেপ্টেম্বরেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে রাশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আর অক্টোবরেই পুতিনের চীনে যাওয়ার কথা। এখানেই তো দুই দুইয়ে এখানেই চার হয়ে যাচ্ছে এর মানে কিমের সঙ্গে ঠিক কী আলোচনা বা পরিকল্পনা হল সবটা পাই টু পাই শি-য়ের কানে পৌঁছে দেবেন পুতিন।

শুধু তাই নয় এবার হবে ফিল্ডে নেমে অ্যাকশন। কিমের দেশের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়ায় উদ্যোগী হয়েছে রুশ প্রশাসন। এমনকি রাশিয়া চায় চীনও এই ড্রিলে তাদের সঙ্গে হাত মেলাক আর আমেরিকার তিন শত্রুর এভাবে এক হওয়া মোটেই ভালো চোখে দেখছে না হোয়াইট। গত ২৭ জুলাই কোরীয় যুদ্ধাবসানের ৭০ বছর উপলক্ষে ভিক্টরি ডে-তে রাশিয়া ও চিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। সে সময় দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে কিমের সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেই সফরেই কিমের কাছে ত্রিমুখী নৌ-মহড়ার প্রস্তাব রেখেছিলেন শোইগু। তবে কবে, কোথায়, কীভাবে এই মহড়া চালানো হবে তা জানা যায়নি এই খবরই বর্তমানে পৌঁছে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। যা তাদের মাথাব্যাথার রীতিমত কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবার দেখার বাস্তবে এর পরিণতি কোন পথে এগোয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version