Jagannath Dev: পুরীর জগন্নাথদেবের এই ওষুধ খেয়েই জ্বর কমে! কীভাবে তৈরি হয়? গোপন রহস্য জানুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Jagannath Dev: স্নানযাত্রার পরই পুরীতে জগন্নাথদেবের ধুম জ্বর আসে।  জ্বর কমাতে কোন ওষুধ সেবন করেন স্বয়ং জগতের নাথ? ভক্তদের মতই কষ্ট পান জগন্নাথ, সঙ্গে মাথা ধরে। এসময় তিন ভাই বোনকে সেবা করেন মন্দিরের বিশেষ একজন। পুরীর জগন্নাথধামে কত রহস্য আজও অজানা থেকে গিয়েছে। জগন্নাথদেবের গায়ে ফুলোরি তেল কেন লাগানো হয়? স্বয়ং ঈশ্বরের জন্য প্রস্তুত ওষুধ যেন ধনন্তরী। আপনি কি জানেন সেসব কীভাবে তৈরি হয়ে আসছে?

দশমীতে প্রভুর জ্বর বেড়ে যায় সবথেকে বেশি। তখন দেওয়া হয় এক বিশেষ পানীয়। শ্রীক্ষেত্রর নিয়ে এই সব তথ্য জানতে পারেন না কেউই। আপনিও কী জগন্নাথদেবের এইসব ওষুধ বানিয়ে খেতে চান? স্নানযাত্রায় প্রচন্ড পরিমাণ স্নানের কারণে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময় জগথের নাথকে নাকি রাজবৈদ্য সেবা করে সুস্থ কতেন। সঙ্গে সেবা করতেন সুভদ্রা ও বলরামকেও। এখন তা আর হয় না। রাজবৈদ্যের জায়গায় কে সেবা করেন জগন্নাথদেবকে?

 

কয়েকজন পুরোহিত বৈদ্যের মতো ভগবানের সেবা করে তাঁর চিকিৎসা করেন। এমন কী ওষুধ সেবন করেন ভগবান। যা সাধারণ মানুষের অজানা। বিভিন্ন রিসার্চ এবং সূত্র বলছে, আদিকাল থেকেই জগন্নাথদেবকে এইসময় ভারী পোশাক নয়, হালকা পোশাক পরানো হয়। গায়ে ধুম জ্বর থাকে। তাই অলঙ্কার, ভারী কাপড়ের পোশাকে কষ্ট হয় ভগবানের। সুতির শ্বেত বস্ত্রতে বিশ্রাম নেন তিনি। পাঁচটি গাছের মূল দিয়ে তৈরি হয় বিশেষ ওষুধ। সমান পরিমাণ শেকড় নিয়ে রোদে শুকোনো হয়। মাটির উনুনে তৈরি হয় পাঁচন। জগন্নাথদেবের পাচন তৈরিতে ব্যবহার হয় বেলের নানা উপাদান। গাছের পাতা থেকে শিকড়।

ভোজনে দেওয়া হয় ফল, ফলের রস, তরল পদার্থ। পঞ্চম দিন বড় ওড়িয়া মঠ থেকে ফুলেরি তেল আসে, যা দিয়ে হাল্কা মালিশ করা হয়। এর পর রক্তচন্দন ও কস্তুরির প্রলেপ লাগানো হয়।এ সময় তাঁকে হাল্কা খাবার, যেমন, দুধ, ফলের রস ও কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়ানো হয়। একে বলা হয় গুপ্ত সেবা। চব্বিশ ঘন্টা ধরে সেবা চলতে থাকে বলে একে বলা হয় অনবসর। দেওয়া হয় অনবসর পানা। অর্থাত্ কোনও অবসর নেই। এই সময় প্রভুকে দর্শন নিষেধ। ঘর থাকে অন্ধকার। এসময় জগন্নাথদেবকে শুধু দেওয়া হয় সাদা ফুল। ঘরটাও কেমন অন্ধকার থাকে। শুধু একটা মাটির প্রদীপ জ্বলে। দশম দিনে হলুদ হরিতকী লবঙ্গ দিয়ে জড়িবুটি। জলের সঙ্গে নরম মিষ্টি বানিয়ে তাঁকে খেতে দেওয়া হয়। তারপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হতে থাকে।

 

১৪ দিনের মাথায় দেবতা অনেকটাই তরতাজা হয়ে ওঠেন। ঠিক যেভাবে ডাক্তাররা বাড়িতে থেকে হোম আইসোলেশনের মধ্য দিয়ে করোনা চিকিৎসার কথা বলছেন। জ্বরলীলা কাটিয়ে জগন্নাথ দেব সুস্থ হয়ে আবার গর্ভগৃহে ফিরে আসেন ঠিক ১৪ দিন পর। অপদেবতার নজর যাতে না লাগে সেই জন্য জগন্নাথকে ভালবেসে দয়িতারা বিগ্রহের হাতে মাদুলির মত করে নানা রকম লতা শিকড়ের মূল বেঁধে দেন। যদিও এই জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার পরের পর্যায় নিয়ে নানা মত রয়েছে। নানা মত পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু ভক্তদের মনে বিশ্বাস বদলায় না। জগন্নাথ সকলকে রক্ষা করে রাখেন বলেই এতো ভক্তি তাঁকে ঘিরে।

https://fb.watch/sYV72sJXTv/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version