Prerana Das: ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে প্রেরণা কনটেন্ট ক্রিয়েটর, হার না মানা লড়াইকে কুর্নিশ

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Prerana Das:  চাকরিটা আর আমি করব না বাবা শুনছ। ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে বাবাকে ফোন করে প্রেরণা ঠিক এই কথাটাই বলেছিল। খুব সুন্দর মেকআপ করতে পারেন প্রেরণা। মাত্র ৫ মিনিটে সারতে পারতেন রূপটান। আত্মীয়রা বলতেন এই মেয়েকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। সেই প্রেরণাকে এখন গোটা দুনিয়া চেনে। ক্যামেরাকে বড্ড ভালবাসতেন। একটা ফোন কল জীবন বদলে দিয়েছিল। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না তাঁকে। কিন্তু তবুও বাবার তাকে নিয়ে এত ভয় কিসের? প্রেরণা দাসের জীবনের এই অজানা গল্প জানেন?

 

সকলে তাঁকে জিজ্ঞেস করতেন, কী করে এত সুন্দর করে এত কম সময়ে সাজেন। তাঁরা পারেন না। তা দেখেই প্রেরণা ঠিক করেছিলেন, এত লোকে তাঁর কাছে জানতে চাইছেন, ভিডিয়ো তৈরি করলে কেমন হয়। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। শুরু করেছিলেন মেকআপের ভিডিয়ো পোস্ট করে।

 

লেখাপড়ায় মেধাবী কন্যা পরীক্ষায় ভাল ফল করে ব্যাঙ্কের চাকরি পেয়েছিলেন। তারপর একদিন হঠাৎই অফিস থেকে ফোন করে বাবা আশিস দাসকে বলেছিলেন, “চাকরিটা আর আমি করব না বাবা শুনছ”। বাবাকে সেদিন আস্বস্ত করেছিলেন এই বলে,তুমি চিন্তা করো না বাবা এর চেয়ে অনেক বেশি রোজগার করে তোমাকে দেখাব।

 

মেয়ে কী করে? কনটেন্ট ক্রিয়েটার বিষয়টা ঠিক কী, মধ্যবিত্ত বাবা তা জানতেন না, বুঝতেনও না। কিন্তু মেয়েকে তিনি কখনওই আটকে রাখেননি। নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে সাহায্য করেছিলেন মাত্র। ফলে অফিসের কোনও এক টিফিন ব্রেকে মেয়ে যখন বাবাকে ফোন করে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তিনি আর আপত্তি করেননি। মেয়েকে তাঁর স্বপ্নপূরণ করতে সাহায্য করেছিলেন।

 

ছোট থেকেই ক্যামেরার সামনে থাকতে ভালোবাসতেন। নিজেকে টিভির পর্দায় দেখে যা খুশি হয়েছিলেন। দাদাগিরি থেকে আসা একটা সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছিলেন। ব্যাস জীবনটা বদলে যায়। কিন্তু আশপাশের লোকজন ভালোভাবে নেয়নি বিষয়টা। অনেক কাছের মানুষও প্রেরণাকে নানা কথা শুনিয়েছেন। তাঁকে দিয়ে নাকি কিছু হবে না। সকলকে জবাবটা দিয়েছেন প্রেরণা। নিজের উপর সবসময় বিশ্বাস রেখেছিলেন।

সকলের থেকে আলাদা কিছু করতে হবে। বরাবর তাগিদ ছিল প্রেরণার। এই মুহুর্তে ইনস্টাগ্রামে ২লক্ষ ৯২ হাজার ফলোয়ার্স। ফেসবুকে ৩৪ হাজার। ইউটিউবে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার মানুষ প্রেরণাকে ফলো করেন। তাঁর কনটেন্ট দেখতে ভালোবাসেন।

 

বাংলা থেকে যে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এখন জাতীয় স্তরে গিয়ে নাম কামিয়েছে তাতে প্রথম সারিতে আছেন প্রেরণা। সম্প্রতি দিদি নম্বর ওয়ানে এসেছিলেন প্েরণা তাঁর বাবাকে নিয়ে। প্রেরণার বাবার চিন্তা মেয়ের ভবিষ্যত নিয়েও। কারণ ভাইরালের দুনিয়ায় আজ যে বিখ্যাত, কাল তার খ্যাতি নাও থাকতে পারে। যদিও প্রেরণা সগর্বেই জানান, ব্যাঙ্কের চাকরির থেকে অনেক বেশি রোজগার করছেন।

https://fb.watch/sBfuRmPyTF/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version