Calcutta University: টেন্ডার ডেকে হবে প্রসাদের আয়োজন! নজিরবিহীন সরস্বতী পুজো CU-এর

।। প্রথম কলকাতা ।।

Calcutta University: শীতের মরশুমে জানুয়ারির শেষ দিক অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে প্রতিবছরই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সেজে ওঠে। এই সময় ছাত্র-ছাত্রীদের কাঁধে গুরুদায়িত্ব থাকে। কীভাবে পুজো হবে, ভোগের মেনুতে কী থাকবে, কারা সাজসজ্জার দায়িত্বে থাকবে, কারা প্রয়োজনীয় জিনিস জোগাড় করবে এই সমস্ত লিস্ট তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এ যেন সেমিস্টার অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কাজের থেকেও বেশি দায়িত্বের। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University) চলতি বছরে আর এই দায়িত্ব পালনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মাথায় চিন্তা থাকছে না। কারণ সরস্বতী পুজোর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুটি টেন্ডার (Tender) ডাকা হয়েছে। একটি পুজো মণ্ডপ এবং সাজসজ্জা- আলপনার জন্য। আর অপরটি হল প্রসাদের জন্য। আপাতত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ, সল্টলেকের টেকনোলজি ক্যাম্পাস, আলিপুর ও হাজরা ল কলেজ ক্যাম্পাসে সরস্বতী পুজো হবে সুপরিচিত কোন কোম্পানির দায়িত্বে। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের আগমন অবাধ কিন্তু কাজ করার ক্ষেত্রে থাকবে কিছু বাধ্যবাধকতা। কারন সেই দায়িত্ব তো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তুলে দেবে নির্দিষ্ট কোনো সংস্থার হাতে। এই ধরনের ঘটনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে পূর্বে কখনও ঘটেনি বলেই ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ কিছুটা অবাক হচ্ছেন।

আবার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে তো বারণ করা হয়নি। কাজেই সরস্বতী পুজো করার জন্য যদি টেন্ডার ডাকা হয় তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং বজায় থাকবে স্বচ্ছতা। এই সময় প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কাজে নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি টাকা খরচ হলে টেন্ডার ডাকার নিয়ম রয়েছে। ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে হলেই টেন্ডার ডাকতে হবে। যেহেতু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ক্যাম্পাস তাই প্রত্যেক ক্যাম্পাসে পুজোর জন্য কমবেশি ৫০,০০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

বাড়তি কিছু খরচ রয়েছে প্রতিমা, প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনা সহ অন্যান্য জিনিসের। তাই সরস্বতী পুজো করার জন্য টেন্ডারের পথ অবলম্বন করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version