সর্বত্র চর্চা সবুজ বাজি নিয়ে, কিভাবে চিনবেন? মুশকিল আসান স্মার্ট ফোনেই

।। প্রথম কলকাতা ।।

দীপাবলি তো এসে গেল। সবুজ বাজি পোড়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছেন তো? আপনি বলবেন, এখন যা কড়াকড়ি মনের মতো বাজি পাওয়াই দায়। নিশ্চয়ই মনে পড়ে যাচ্ছে সেই ছোটবেলার দিনগুলির কথা।রঙ মশাল, ঢাউশ ঢাউশ তুবড়ি, কালী পটকা, দোদমার সঙ্গে ছিল বুড়িমার চকলেট বোম। ও, সে কি আওয়াজ! কিন্তু এখন আমাদের সকলকেই পরিবেশ সচেতন হতেই হচ্ছে। বাতাস, শব্দ দূষণ রুখতে আইনের কড়াকড়ি হয়েছে। সর্বত্র চর্চা চলছে সবুজ বাজি নিয়ে। দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ধরনের বাজি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে সরকারের তরফে। আপনার মতো অনেকেরই প্রশ্ন, এই সবুজ বাজি কি?কিংবা এই সবুজ বাজি চিনবেন কি করে? উপায় আছে আপনার হাতেই।চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

আলোর উৎসব উদযাপনে প্রস্তুত কলকাতা থেকে শুরু করে গোটা রাজ্য। বাড়িতে বাড়িতে জ্বলে উঠছে বাহারি আলো। দীপাবলির সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি বাজি না ফাটালে চলে!সেজন্য রয়েছে গ্রিন ক্যাকার বা সবুজ বাজি ।তবে তা পোড়ানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আপনি কি জানেন, কতক্ষণ পোড়ানো যাবে এই বাজি?জানাবো, তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক সবুজ বাজি কি। এ প্রসঙ্গে প্রথমেই আসে একটি সংস্থার নাম। সেটি হল কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাসট্রিয়াল রিসার্চ ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট। সংক্ষেপে CSIR – NEERI তারা দীর্ঘ গবেষণার করে এই সবুজ বাজি বানিয়েছে।

এই বাজিগুলিতে থাকে বেরিয়াম মোনোক্লোরাইড, বেরিয়াম নাইট্রেট ও বেরিয়াম ক্লোরেট। এই বাজির পোড়ানোর ফলে শব্দদূষণ হয় না। বিষিয়ে যায় না বাতাসও। ধোঁয়ার বদলে বেরিয়ে আসে বাষ্প।বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এই বাজি ফাটালে ৩০ শতাংশ কম দূষণ হয়। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, কালীপুজোর দিন রাত ৮টা থেকে ১০টা অবধি ফাটানো যাবে সবুজ বাজি।এই সময়সীমা অতিক্রম করে গেলে বাজি ফাটানো যাবে না। এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, আপনি কী ভাবে চিনবেন সবুজ বাজি?

বাজির প্যাকেটে রয়েছে QR কোড। এছাড়াও রয়েছে CSIR – NEERI হলোগ্রাম। প্যাকেটের ওপর থাকা লোগো বা QR কোড দেখেই চেনা যাবে সবুজ বাজি। CSIR- NEERI স্ক্যানার থেকে বাজির প্যাকেটের ওপরে থাকা কোড স্ক্যান করে নিন।তাহলেই বুঝতে পারবেন সেগুলি সবুজ বাজি কিনা। QR কোড স্ক্যান করার জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে CSIR-NEERI স্ক্যানার ডাউনলোড করে নিন।গ্রিন ক্র্যাকার্সে শেলের আকার অনেকটাই কম থাকবে। এই ধরনের বাজিতে চারকোল বা বেরিয়াম ব্যবহার করা হয় না। সেই কারণে সবুজ বাজি পোড়ালে উজ্জ্বল রং দেখা যায়। কোনও বিষাক্ত ধোঁয়াও তৈরি হয় না। নিঃসরণের পরিমাণ কম করার জন্য সবুজ বাজিতে ব্যবহার করা হচ্ছে জিওলাইট। তাহলে এবার আপনি সবুজ বাজি পোড়াতে তৈরি তো? কলকাতার আকাশ দেখেই বোঝা যাবে সাধারণ মানুষ গ্রিন ক্র্যাকারকে গ্রহণ করেছেন কি না।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version