রান্না ছেড়ে দিচ্ছেন পপি! প্রেগন্যান্সিতে কী বারণ ? মনে প্রাণে মেয়ে হোক চান

।। প্রথম কলকাতা ।।

মা হচ্ছেন পপি! তবে কি রান্না ছেড়ে দেবেন? পুকুরে সাঁতরে মাছ ধরে রান্না করতে ভালোবাসেন। এবার থেকে আর দেখতে পাবেন না! ভাবছেন এমন কেন বলছি? পপির বর এই ভিডিওতে যা বললেন শুনলে এমন আশঙ্কা হবে আপনারও। কষ্ট করে যে সাফল্য পেয়েছেন তা কী এবার হারাতে বসবেন? মেয়েদের জামা কেনার শখ জেগেছে পপির কিন্তু আমাদের মতো পপির সহজ জীবন নয় জানেন কতটা কষ্ট? বৃষ্টির মধ্যে শ্যাওলা ভরা উঠোন দিয়ে হেঁটে চলেছে পপি।স্বামী চিৎকার করে বলছে সাবধানে! ডাক্তার দেখাতে কোথায় যেতে হয় জানেন?পপির বর তাঁকে নিয়ে কেন চিন্তা করছেন?

মা হতে চলেছেন পপি। সুখবর তো বটেই । কিন্তু পপি কিচেন ভ্লগও কি পাল্টে যাবে? গ্রামের বউদের নিয়ে পুকুরে সাঁতার কাটতেন। পুকুরে নেমে জাল দিয়ে মাছ ধরতে ভালোবাসেন পপি। গাছ থেকে আম পাড়া সবেতেই পপি ওস্তাদ। আর সেই সব ভিডিও মন দিয়ে দেখতেন ফ্যানেরাও। কিন্তু প্রেগন্যান্সির জন্য সব এখন বন্ধ। তাহলে? মাটির রান্নাঘরে বসে রান্না কি করতে পারবেন?তাহলে কি পপির ভ্লগে আর কদিন বাদেই কনটেন্ট বদলাতে চলেছে? পপির জীবন এতোটা কঠিন! জানতেন আগে? মা হচ্ছেন। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন। চিকিৎসকের কাছে যেতে হচ্ছে বারে বারে। কিন্তু বাড়ি থেকে পপির ডাক্তারের চেম্বার অনেক দূর।

ফিরতি পথেই বড় দোকান থেকে পুজোর জামাও কিনলেন কিন্তু পপির মন চলে যাচ্ছে ছোট ছোট মেয়েদের জামার দিকে হাঁ করে দেখছেন বাচ্চা মেয়েদের ফ্রক। পপি কী নিজেও চান একটা ফুটফুটে ময়ে ঘর আলো করে‌ আসুক তাকে এই জামা পরিয়ে সুন্দর করে সাজাবে পপি। তার কোনও চাওয়া পাওয়া নেই। ভালো শাড়ি না, গয়না না, কোনওকিছুই চান না পপি। গ্রামের আর পাঁচটা বউয়ের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও পপির কাছে সকলেই সমান। পুরো পরিবার নিয়ে হাসিমুখে সংসার করতে চান। তাই তো লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তিনি এতোটা প্রিয়। এভাবেই এগিয়ে যাক পপি। তিনি বহু মেয়ের কাছে সত্যিই অনুপ্রেরণা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version