Russia-Ukraine War: ইউক্রেনকে ‘ন্যাটোর ব্রহ্মাস্ত্র’ দিতে চেয়েছিল পোলান্ড, বাধা দিল কোন দেশ? কেন?

৷ ৷ প্রথম কলকাতা ৷ ৷

Russia-Ukraine War: ন্যাটো একটা পা এগোলেই হয়ত যুদ্ধ জিতে যেতে পারত ইউক্রেন৷ ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ড তো এগিয়ে ছিলই তাহলে বাধা দিল কে? কিয়েভের বাড়বাড়ন্তকে পছন্দ করছে না আমেরিকার বন্ধুরা৷ নির্বাচনের পর এবার ইউক্রেনকে সাহায্য কমিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র৷ যুদ্ধে সব হারিয়েও কীভাবে এখনও আত্মবিশ্বাস দেখাতে পারছে রাশিয়া৷ পুতিন কি এটা ভাবছেন যে বাইডেনের পক্ষে আগের মতো আর স্বাধীনভাবে, খোলা হাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করা সম্ভব নয়৷ বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলে দিয়েছেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সাফল্য নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই তাদের৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার পোলান্ড এক পা বাড়িয়েছিল জেলেনস্কির পাশে দাঁড়াবে বলে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে বলে, কিন্তু না বাধাটা এল সরাসরি আমেরিকার বন্ধু দেশের তরফ থেকেই৷ আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মহল বলছে, যে ভাবনা পোলান্ড ভেবেছিল সেটা বাস্তবে হলে ইউক্রেনের সমস্যার ৮০ শতাংশ সমাধান হয়েই যেত৷ রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিতে চেয়েছিল পোলান্ড৷ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বলা যেতে পারে ন্যাটোর ব্রহ্মাস্ত্র৷ এমন কি খেলা দেখাতে পারে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার এই অস্ত্র ইউক্রেনের হাতে তুলে দিলে রাশিয়া হয়ত মুখ থুবড়ে পড়ত৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতি এত সহজ নয়৷

পোলান্ডকে সোজাসুজি বাধা দিয়ে দিল ন্যাটোর আরেক সদস্য জার্মানি৷ রয়টার্সের খবর অনুযায়ী পোলান্ডের প্রস্তাবে সরাসরি না করে দিয়েছে জার্মানি৷ প্রশ্ন উঠছে জার্মানি কি চাইছে না প্রায় একবছর ধরে হতে চলা এই যুদ্ধ এবার থামুক, রাশিয়া মুখ থুবড়ে পড়ুক এবার যুদ্ধের ময়দানে? জার্মানির চাহিদাটা ঠিক কী? প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কতটা খতরনাক? প্যাট্রিয়ট মিসাইল অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। আগামী ৪০ বছর ধরে এই সিস্টেমকে আপডেট করা যাবে, ২০৪৮ সাল পর্যন্ত এই মিসাইল সিস্টেম আপডেট করা সম্ভব৷ এই সিস্টেমে রয়েছে একাধিক র‍্যাডার৷ কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ইউনিট আছে৷ ৫০টি মিসাইল একসঙ্গে ট্র্যাক করতে পারে এর রাডার৷ এর মানে রুশ বাহিনী মুড়ি মুড়কির মতো মিশাইল ছুঁড়লেও একাই একশর কাজ করে দিতে পারত প্যাট্রিয়ট মিসাইল৷

একসঙ্গে পাঁচটি মিসাইলকে ট্র্যাক করে ধ্বংস করতে পারে এই সিস্টেম৷ ১৬০ কিলোমিটার দূরের ট্রাগেট ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে৷ কিন্তু পোলান্ড চাইলেও জার্মানি একেবারেই চায় না এতটাও সুবিধা ইউক্রেন পেয়ে যাক৷ নেপথ্যে রয়েছে ন্যাটোর গভীর কূটনীতি, বলছে কূটনৈতিক মহল৷ তারা জানে, আমেরিকা দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক চাপে পড়ে হয়ত ইউক্রেনকে সাহায্য কমাতে পারে কিন্তু সাহায্য বন্ধ তারা করবে না৷ রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বার্লিন পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে প্যাট্রিয়ট মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শুধু পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যভুক্ত এলাকায় ব্যবহারের জন্যই প্রযোজ্য।

বার্লিনে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেখট বলে দিয়েছেন, তাঁরা পোল্যান্ডের এই প্রস্তাব মানতে পারছেন না। জার্মানির স্পষ্ট দাবি ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র নয়৷ মার্কিন প্রতিষ্ঠান রেথিয়নের তৈরি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটোর সমন্বিত আকাশ প্রতিরক্ষার অংশ৷ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল বলছে এর স্পষ্ট মানে, এগুলো ন্যাটো জোটের আওতাধীন এলাকায় মোতায়েন করতে হবে। ন্যাটোভুক্ত এলাকার বাইরে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে হলে আগে জোট ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। জার্মানির কাছে আগে ৩৬টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ছিল৷ এই সংখ্যা কমে এখন ১২টিতে দাঁড়িয়েছে৷ তার মধ্যে দুটি স্লোভাকিয়ায় মোতায়েন রয়েছে৷ এর মানে কি এটা ধরে নেওয়া যায় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে একেবারেই আগ্রহী নয় ন্যাটো৷ তারা চাইছে না রাশিয়ার সঙ্গে সম্মুখসমরে নামতে৷ ইঙ্গিত তেমনই দাবি কূটনৈতিক মহলের৷

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version