Bangladesh: কক্সবাজারের ফিশ ফ্রাইয়ে বিষ ? সুগন্ধা পয়েন্টে জীবন্ত ফাঁদ

।। প্রথম কলকাতা ।।

কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট! এতো এতো দাম দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে বিষ পরিবেশন করা হচ্ছে?সাগরের বুক চিরে কিভাবে জীবন্ত ফাঁদ পেতে বসে আছে বাংলাদেশ? এত এত ফিস ফ্রাই এর দোকান।বিক্রি হচ্ছে প্রন, লবস্টার, কাঁকড়া, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ। সবটাই কি নকল? পচা? মৃত্যুও কি ঘটেছে?তারপরেও তো হু হু করে উড়ে যাচ্ছে। একটা অদ্ভুত লোভ কাজ করছে। ভেতরে ক্যান্সার জাঁকিয়ে বসতে পারে কিন্তু দেখুন কিভাবে ব্যবসার নামে জীবন নিয়ে খেলছে কক্সবাজার। সমুদ্র সৈকতে যাবেন, আর সন্ধ্যার ফিস ফ্রাই মার্কেট আপনাকে কাছে টানবে না এটা অসম্ভব। ঠিক যেমনটা ঘটে বাংলাদেশের কক্সবাজারে। সুগন্ধা পয়েন্টের আকর্ষণে আপনি লোভে পড়তে বাধ্য। এখানেই তো বড়সড় ট্র্যাপ। জানুন কি ঘটছে।

আপনি অর্ডার করছেন, গরমা গরম সী ফুড সাজানো প্লেট আসছে, অদ্ভুত স্বাদ। কিন্তু কি খাচ্ছেন? সেই খোঁজটা কি রাখছেন? কক্সবাজারে ফিশ ফ্রাই বলে পর্যটকদের আসলে কী খাওয়ানো হচ্ছে? জানেন এই মাছ কতটুকু স্বাস্থ্যকর বা যে তেলটা ফ্রাইয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা কতটা মানসম্মত? পুরোটাই কি নকলের খেলা? প্রশ্নগুলো উঠছে কারণ, এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায়শই উঠে আসে পচা বা বাসি মাছ বিক্রির পাশাপাশি জোরজুলুম করে এক্সট্রা টাকা আদায়ের অভিযোগ। ব্যবসার নামে ভয়ানক খেলা। সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু পর্যটক বলছেন এখানে বিক্রি করা হয় পচা বা বাসি মাছ। যেটা অনেকেই জানতেন না। মাছগুলো দেখে মনে হবে একদম তাজা, কিন্তু তার আড়ালে পচা-বাসি সি ফুড খাওয়ানো হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই উচিত নয়। না, আমরা কোনো গুজব ছড়াচ্ছিনা।

সম্প্রতি, কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানে অভিযান চালিয়েছিল জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক আধিকারিকদের দেখে কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে পালিয়ে যান। সেইসময় পচা বা বাসি মাছ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি করা হয় কয়েক হাজার টাকা জরিমানা। ফিশ ফ্রাইয়ের সব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রায় সব দোকানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার। বাজার থেকে কম দামে পচা মাছ কিনে এনে ব্যবসায়ীরা সেগুলোই দুর্দান্ত ভাবে পরিবেশন করে খাওয়ানো হচ্ছে পর্যটকদের। ওই দোকানগুলোর সবচেয়ে বেশি অস্বাস্থ্যকর ভোজ্য তেল সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে, পোড়া তেলেই ভাজা হচ্ছে একের পর এক সি ফুড। দাঁড়ানোর অবস্থাও নেই। এমনকি দামও নেওয়া হচ্ছে বেশি।

তাই, যখন মান বা খাবারের কোয়ালিটি ঠিক করে প্রমাণ করতে পারবে দোকানগুলো তখন আবার চালু করার সুযোগ পাবে। তা জানিয়ে দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এইসব দেখে শুনে পর্যটকদের মনে বাসা বাঁধছে ভয়। পর্যটকরা বলছেন, সৈকত এলাকায় সামুদ্রিক মাছ ফ্রাই খুবই পছন্দের খাবার কিন্তু তা নিয়ে নয়-ছয় করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, ধুলো বালি সমেত, পোড়া তেলে ফ্রাই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে মানবদেহে গ্যাস্ট্রক সহ ক্যান্সারের মতো রোগ ও বাসা বাঁধতে পারে। মনে করিয়ে দিই, কক্সবাজারে এমনও ঘটনা ঘটেছে। ওই মাছের দোকানগুলোথেকে ফিশ ফ্রাই খেয়ে পর্যটকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। তারপর প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কি আদৌ হয়েছে?

পরিস্থিতি যে এতটুকু বদলাইনি, সেটা আরো একবার প্রমাণিত। তাই, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সন্ধ্যা নামলেই পর্যটকদের জন্য প্লেট ভর্তি লোভনীয় টুনা, স্যালমন, রুপচাঁদা, কোরাল, রেড স্নাইপার, সুরমা, স্কুড, অক্টোপাস খাওয়া কতটা সেফ সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। যে কক্সবাজারের প্রতি পর্যটকদের তীব্র আকর্ষণ, যেখানে পর্যটকদের জীবনের প্রশ্ন জড়িয়ে, সেই সমুদ্র সৈকতের উপর আরো বেশি কড়া নজরদারি কি উচিৎ নয় স্থানীয় প্রশাসনের! এই প্রশ্নগুলো থেকেই যাচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version