।। প্রথম কলকাতা ।।
Civic Volunteers: এবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য নয়া পরিকল্পনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Government)। কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ার ভালো কাজ করলেই স্থায়ী চাকরির সুযোগ পাবেন। সোমবার রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই প্রস্তাব রেখেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। কিন্তু এই স্থায়ী চাকরি পাওয়ার পেছনে রয়েছে কিছু শর্ত। তা এই সিদ্ধান্ত আদৌ কি কার্যকর হবে? নাকি শুধু প্রস্তাব দেওয়া পর্যন্তই গোটা বিষয়টি সীমিত থাকবে! কার্যকর হলে, কবে থেকে হবে? খবর জানাজানি হতে এরকম কিছু প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে সকলের মনে।
‘আনন্দবাজার অনলাইন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কোনওকিছু চূড়ান্ত হয়নি। নবান্ন সূত্রে, মাননীয়া এই মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্তাদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন থানাগুলিতে কনস্টেবলের পদ খালি রয়েছে। উল্লেখ্য, অনেকের পদোন্নতি হওয়ায় পদগুলি খালি পড়ে রয়েছে। আগামী দিনে আরও কিছু পদ খালি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেই জায়গাগুলি দক্ষ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteers) দেওয়া যায় কিনা, তাই নিয়ে মাননীয়া ভাববার পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে। তা শর্তগুলি কী কী?-
প্রথমত, সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কাজের জন্য যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। প্রতিটি কাজ তাঁরা কীভাবে করছেন অর্থাৎ দায়িত্ব নিয়ে এবং গুরুত্ব সহকারে করছেন কিনা, তা নজরে রাখা হবে।
দ্বিতীয়ত, এই ব্যবস্থা সেখানেই শুধুমাত্র কার্যকর হবে, যেখানে থানায় কনস্টেবেল পদ খালি রয়েছে।
আর শেষ এবং তৃতীয় শর্ত হল, সুযোগ তাঁদেরকেই দেওয়া হবে যাঁদের সুপারিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা করবেন।
মূলত এই দায়িত্ব জেলার পুলিশ সুপারের উপরেই থাকবে। তাঁর উপর নির্ভর করেই কনস্টেবলের পদে জায়গা পাবেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। আর তিনি নির্ভর করবেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়াররা যেখানে কাজ করছেন সেখানকার ওসি এবং এসডিপিও-র রিপোর্টের উপরে। মূলত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সাহায্য করে থাকে সিভিক এই ভলেন্টিয়াররা। বিভিন্ন সময় তাঁদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ঠিকই। এমনকি অভিযোগ উঠেছে এই ভলেন্টিয়াররা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রশাসন ভাবছে, যদি তাঁদেরকে পদোন্নতির কথা বলা হয় তাহলে তাঁরা কাজে মন দেবেন। আর এর দরুন কোনও কিছু প্রভাবিত হবে না। যদিও এর মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মিশে রয়েছে বলে মনে করছে বিরোধী পক্ষ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম