।। প্রথম কলকাতা ।।
চলতি বিশ্বকাপের চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ মিস করল হ্যারি কেইন। আর এখানেই শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন। প্রথমার্ধে চুয়ামেনির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরালেন হ্যারি কেইন। পাল্টা আক্রমণে ফ্রান্সের ব্যবধান বাড়ালেন অলিভিয়ে জিরুদ। সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগও পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। পেনাল্টি মিস করে ইংল্যান্ডের সব আশায় জল ঢেলে দিন কেইন। সেমিফাইনালে ইতিহাস গড়া মরক্কোর মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।
কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে চতুর্থ তথা শেষ কোয়ার্টার ফাইনালের শুরু থেকেই আক্রমণ শানাল ফ্রান্স। আক্রমণে সাফল্য পেতেও বেশি দেরি হল না ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ১৭ মিনিটে চুয়ামেনির গোলে এগিয়ে গেল ফ্রান্স। দূর থেকে নেওয়া জোরালো শটে ব্রিটিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। গোল খাওয়ার পরই জেগে ওঠে ফ্রান্স রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ তুলতে থাকে তাঁরা। কিন্তু গোলের দরজা খুলতে পারল না ইংল্যান্ড। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ইংল্যান্ড। ইংলিশ রক্ষণে বেশ কয়েকবার হানা দেয় হ্যারি কেইন-বুকায়ো সাকারা। ৫৪ মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। বক্সের মধ্যে সাকাকে ফাউল করে বসেন চুয়ামেনি। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোন ভুল করেননি হ্যারি কেইন। গোল খাওয়ার পরই আক্রমণে জোর বাড়ায় ফ্রান্স। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। সুযোগও তৈরি করে দুই দল। ৭৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান অভিজ্ঞ জিরুদ। গ্রিজমানের ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। তবে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ মিস করে হ্যারি কেইন। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। জোরালো শট নিতে গিয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন কেইন। আর এখানেই জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের।