Panchayat: পঞ্চায়েতের সাদা-সিধা রিঙ্কি বাস্তবে কেমন জানেন? তার বোল্ড অবতারে হুঁশ উড়বে

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Panchayat: ফুলেরা গ্রামের সাধাসিধে রিঙ্কি কিন্তু বাস্তবে ধানি লঙ্কা। পড়াশোনাতেও তুখোড়, ঝুলিতে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং-র ডিগ্রি। সেখান থেকে অভিনয়ে এলেন কীভাবে? রিঙ্কির জীবনের গল্পটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। পর্দায় সাধাসিধে রিঙ্কি বাস্তবে কিন্তু টোটাল ফ্যাশনিস্তা। স্টাইল স্টেটমেন্টের নিরিখে গুনে গুনে গোল দিতে পারেন বলিউড সেলেবদের। এখন তো লোকের মুখে মুখে ঘুরছে তার কথা। কেমন ছিল তার শুরুর গল্পটা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।

 

প্রথম সিজনে মাত্র কয়েক ঝলকই দেখা গেছিল তাকে। তবে ঐ কয়েক ঝলকেই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধানের মেয়ে রিঙ্কি‌‌। দ্বিতীয় সিজনেও কোনও খামতি রাখেননি তিনি। আর তৃতীয় সিজনে তো সবকিছুকে ছাপিয়েই গেলেন। বাবা মায়ের বাধ্য মেয়ে রিঙ্কি এখন তো সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন।

 

যদিও বাস্তব জীবনে রিঙ্কি কিন্তু এমনটা মোটেও নন। পর্দায় তিনি যতটা শান্ত, বাস্তবে আবার ততটাই জেদি। বাড়ি থেকে অবধি পালিয়েছেন তিনি। ভাবতে পারছেন এই মেয়ে ঠিক কতটা ডেয়ারিং। ডিরেক্টর সাহেবও বুঝেছিলেন এই মেয়ের হবে। মাথা খাটিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছকে সাজালেন রিঙ্কির গল্প। আর সেই রিঙ্কির ভূমিকায় মন কেড়ে নিলেন অভিনেত্রী সানভিকা। কে এই সানভিকা? যার জন্য গোটা দেশ পাগল‌।

 

এই সিরিজে আপনারা তাকে প্রায় সবসময়ই সালোয়ার কামিজে দেখেছেন। সাত চড়েও রা কাড়েনা এমন একটা তরুণী। যে কি না গণিতের কম নম্বর নিয়েও লজ্জায় মরে যাই মরে যাই অবস্থা। অথচ বাস্তবে তিনি কিন্তু দারুণ নম্বর নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। সিরিজে তাকে একেবারে সহজ সরল দেখালেও বাস্তব জীবনে কিন্তু তিনি অত্যন্ত স্টাইলিস্ট। এককথায় ফ্যাশনিস্তা বললেও অত্যুক্তি হবেনা। তার ইনস্টাগ্রামের পাতায় চোখ রাখলে হুঁশ উড়ে যাবে আপনার। শাড়ি, সালোয়ারের পাশাপাশি ওয়েস্টার্ন পোশাকেও তিনি সুপার ডুপার হিট। তো এই সানভিকা অভিনয়ে এলেন কিভাবে?

 

আসলে অভিনয়ের পোকাটা তার মধ্যে শুরু থেকেই ছিল। আর সেই কারণেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেই চলে এসেছিলেন মুম্বাইতে। যদিও বাড়িতে বলেছিলেন তিনি বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন। হ্যাঁ, বাবা-মাকে মিথ্যা কথাই বলেছিলেন সেদিন। কারণ তার দ্বারা ঐ কর্পোরেট সেক্টরের ১০টা ৫টার কাজ যে কোনোদিনই হতনা। তবে ভাগ্যিস সেদিন তিনি পালিয়েছিলেন। নাহলে এই রিঙ্কিকে কি আমরা পেতাম?

 

যদিও মুম্বাই আসার পরপরই যে তিনি সুযোগ পেয়ে গেছিলেন তেমনটা তো নয়। প্রথমে তিনি কাজ শুরু করেন অ্যাসিস্টেন্ট কস্টিউম ডিরেক্টর হিসেবে। কাজ করতে করতেই দিতেন অডিশন। আজ এই পরিচালক তো কাল সেই পরিচালক। এই করতে করতেই একদিন অডিশনে পাশ করে গেলেন সানভিকা। বিজ্ঞাপনের একটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ এল তার হাতে।

 

তবে ভাগ্য বদলে দিল টিভিএফ। হঠাৎ করেই ছোট্ট একটি চরিত্রের জন্য ডাকা হল তাকে। বলা হল, প্রথম সিজনে অভিনয়ের সুযোগ কম তবে সিরিজ জনপ্রিয়তা পেলে পরে আরও সুযোগ পাবেন। আর বাকিটা তো আপনাদের সামনেই। যদিও ‘পঞ্চায়েত ৩’-এর পর তাকে ফের কোন প্রোজেক্টে দেখা যাবে তা নিয়ে কিছুই জানাননি সানভিকা।

 

 

Exit mobile version