Panchayat Election: পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীদের তুমুল লড়াই, জিততে পারলে বেতন কত? কী কী সুবিধা পাবেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Panchayat Election: হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট। প্রার্থীরা লড়লেন জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম সভার আসনে। টিকিট পাওয়া থেকে আসন জেতা, চরম উত্তেজনা। এই যে এত লড়াই, এনাদের সাম্মানিক কত জানেন? মাস গেলে ঠিক কত টাকা পান? জানলে তাজ্জব হয়ে যাবেন। ঠিক কোন কোন যোগ্যতা থাকলে প্রার্থী হওয়া যায়? গ্রাম সভার, পঞ্চায়েত সমিতি, এবং জেলা পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হন জনগণের মাধ্যমে। কিন্তু পঞ্চায়েতে প্রধান আর উপপ্রধান নির্বাচিত হন কীভাবে? সামান্য ভুলে বাতিল হয়ে যেতে পারে সদস্য পদ।

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, প্রধান উপপ্রধান সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যেক সদস্য নিজেদের পদত্যাগ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিককে জমা দিতে পারেন। এছাড়াও মহাকুমা শাসক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের পদচ্যুত করতে পারেন। জাস্ট সামান্য কয়েকটা ভুলে। যদি অনুমতি ছাড়া কোন সদস্য পরপর তিনটি সভায় উপস্থিত না থাকেন, কর শুল্ক বকেয়া রাখেন, নির্বাচিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী আদালত দ্বারা যদি ন্যূনতম ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করেন তাহলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে সদস্যরা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থনে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতিকে পদচ্যুত করতে পারেন।

এই পদ গুলোর জন্য কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন? তেমন কিছুই নয়। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় সকল সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর। এখানে প্রার্থী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাতে গেলে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। নূন্যতম বয়স হবে ২১ বছর। তবে হ্যাঁ, আদালত যদি কাউকে দেউলিয়া বলে কিংবা বিকৃত মস্তিষ্ক বলে ঘোষিত হয় এমন ব্যক্তি কিন্তু সদস্য হতে পারেন না। সদস্য পদ পেতে গেলে সঠিকভাবে কর বা শুল্ক মিটিয়ে দিতে হবে।

এই যে প্রধান বা উপপ্রধান যারা নির্বাচিত হচ্ছেন, এরা কিন্তু সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন না। নির্বাচনের ফলাফলের পর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অর্থাৎ বিডিও গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা গ্রাম সভার আহবান করেন। যেখানে ঠিক করা হয়, জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে কে প্রধান হবেন, আর কে উপপ্রধান।

গ্রাম পঞ্চায়েত যে গ্রামের উন্নতিতে এত কাজ করে, এত প্রকল্প সচল রাখতে সাহায্য করে, এই টাকা কোথা থেকে আসে? আসলে গ্রাম পঞ্চায়েতের আয়ের অন্যতম উৎস রাজ্য সরকার থেকে পাওয়া অনুদান। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বেশ ভালই আয় হয়। যেমন যানবাহনের উপর লাইসেন্স ফি, জমি বাড়ির উপর কর, হাটবাজার থেকে প্রাপ্ত কর, জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া অনুদান, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের অনুদান প্রভৃতি।

এবার আসা যাক সাম্মানিকের কথায়। এই টাকা কিন্তু আপনার মাসিক আয়ের থেকেও অনেক কম। মাস গেলে পঞ্চায়েত প্রধানরা পান ৫ হাজার টাকা, উপপ্রধানরা পান ৪ হাজার টাকা, সদস্যরা পান মাত্র ৩ হাজার টাকা। পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে, সভাপতি পান ৬ হাজার টাকা, সহকারী সভাপতি পান ৫৫০০ টাকা, কর্মাধ্যক্ষারা পান ৫০০০ টাকা। সদস্যরা পান ৩৭০০ টাকা। জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে, সভাধিপতি পান ৯ হাজার টাকা, সহকারি সভাধিপতি পান ৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ৫ হাজার টাকা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version