Karachi Port: করাচি বন্দর বিক্রি বিপত্তি ডাকতে পারে পাকিস্তানের? বন্ধ হয়ে গেল খাদ্য আমদানি

।।‌ প্রথম কলকাতা ।।

Karachi Port: পাকিস্তান তাদের দেশের সবথেকে বড় সম্পদ বিক্রি করে দিল। গম-ডাল আমদানি করা কোন খাবার পাওয়া যাবে না এবার। আরবের ওপর এতটা অন্ধবিশ্বাস! হিতে বিপরীত হবে নাকি? বর্তমান পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। ব্ল্যাক হোলে টাকা ঢালছে চিন৷ কোথায় যাচ্ছে কাড়ি কাড়ি অর্থ খোঁজ নেই। শুধু খবরের শিরোনামেই চিন থেকে ঋণ পাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু গ্রাউন্ড ফ্যাক্ট বলছে এবার সরাসরি জনতার ভাতে কোপ পড়ল।

সৌদি, ইরাক, তুরস্কের মতো বহু দেশ পাকিস্তানের ফেভারে থাকে৷ তাই বলে এত বড় সিদ্ধান্ত৷ পাকিস্তানে বিক্রি করে দিচ্ছে তাদের ঐতিহ্যবাহী করাচি বন্দর। পাকিস্তানের সব থেকে বড় গভীর সমু্দ্র বন্দর হল করাচি পোর্ট। বন্দরটি সে দেশের ৬০% এর বেশি পণ্য দ্রব্য পরিবহন করে। কিন্তু এই পেট চালাতে এই বন্দরই শাহবাজ সরকার তুলে দিচ্ছে আরব আমিরাতের হাতে। হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল? চিনের ঋণের পরও কি পাকিস্তান স্টেবল হতে পারছে না? উত্তরটা হল না পারছে না। ডলার নেই আর দেশটায় তাই কোনও খাদ্যসামগ্রী আমদানি করবে না পাকিস্তান এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে করাচির ব্যবসায়িক সমিতি। চা, গম, কলাই ডাল বিদেশ থেকে বহু খাদ্যসামগ্রী আমদানি করে থাকে পাকিস্তান। এবার সেই খাদ্য আমদানিতে কোপ মানে সোজার জনতার ভাঁড়াতে।

তারমধ্যেই করাচি বন্দর বিক্রির সিদ্ধান্ত কি শাপে বর হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরব আমিরাতের বড় অফার লুফে নিয়েছে ইসলামাবাদ। কয়েকদিন আগে করাচি বন্দর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকার। এরপরেই তা হস্তান্তরের ব্যাপারে উৎসাহ দেখায় পাক সরকার। এক্ষেত্রে বিষয়টাকে পুরোপুরি বিক্রির তকমা দিলে ভুল হবে। করাচি পোর্ট ট্রাস্ট এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হবে বলে শেষে জানিয়েছেন পাক অর্থমন্ত্রী। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকারের মূল টার্গেট কিন্তু অন্য। আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০২২ সালে শাহবাজ শরিফ সরকার আন্তঃসরকারি বাণিজ্যিক লেনদেন আইন প্রণয়ন করে, যার প্রধান লক্ষ্য হল, সরকারি তহবিল সংগ্রহের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রি করা। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য করাচি বন্দর আমিরশাহী সরকারের কাছে হস্তান্তর করার পিছনে তহবিল গঠনই মূল লক্ষ্য বলে মনে করছেন পাক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

অবশ্য এতে পাকিস্তানের ঠিক কত অঙ্কের লাভ আসবে সেটা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি৷ মানে বন্দর ভাড়া দিয়ে ঠিক কত টাকা উপার্জন হবে তার কোন সঠিক হিসেব প্রকাশ্যে আনা হয়নি৷ বিশেষজ্ঞদের অনুমান, খুব সতর্ক হয়ে এই চুক্তি করতে হবে পাকিস্তানকে। কারণ এর আগে আরব সরকারের সঙ্গে এহেন চুক্তি হয়নি সেদেশের। করাচি পোর্ট মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানের বিদেশি বাণিজ্যের জন্য। কূটনৈতিক মহল বলছে, পাকিস্তান এখন অনেকটাই দুর্বল আর সেখানে অন্যদেশের হস্তক্ষেপ পরবর্তীকালে হিতে বিপরীত পরিস্থিতি না জন্ম দেয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version