পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাওয়াই! পাক সেনা সিধে হবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

বাংলাদেশের পর পাকিস্তানের নির্বাচনে নজরদারি যুক্তরাষ্ট্রের। পাকিস্তান বড় সমস্যার মুখে পড়তে এবার। প্রেসিডেন্ট যে তারিখ ঠিক করেছে তা পাক সেনা মানবে তো? ইমরান খানের দল নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে পারে। পাকিস্তান ওপরও কি কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? কারণ পাকিস্তানের ভোট নিয়ে বড় বয়ান আমেরিকার। কবে হতে পারে নির্বাচন তারিখ তো প্রস্তাব করা হল কিন্তু পাকিস্তানের সর্বেসর্বা সেনাবাহিনী কি সেটা মেনে নেবে? প্রতিদিন প্রতিমূহুর্তে একটু একটু করে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআইকে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করছে পাক আর্মি যাতে নির্বাচনের তারিখ একবার ঘোষণা হলে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে পাকিস্তান তেহেরিক- ই- ইনসাফ।

তাঁর মধ্যেই সামনে এল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবাণী
পাকিস্তানে অবাধ, সুষ্ঠু ও সময়মতো নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৬ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন হতে পারে পাকিস্তানে ওই দিনে ভোট করানোর সুপারিশ করে পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি চিঠি দিয়েছেন সে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান রাজাকে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করা হয় এবিষয়ে হোয়াইট হাউজের মতামত ঠিক কী? তার জবাবেই ম্যাথিউ মিলার জবাবে বলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আমরা পাকিস্তানকেও সময়মতো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাচ্ছি। এর আগে পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার সঙ্গে দেখাও করেছিলেন বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নেতাদের বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। পাকিস্তানের জনগণের জন্য এবং ওয়াশিংটন জনগণ যাকে বেছে নেবে তার সঙ্গে মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্ক প্রসারিত ও গভীর করতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রশ্ন হল পাক সেনা কী এত জলদি নির্বাচন হতে দেবে পাকিস্তানে? বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এখন ভোট হলে ইমরানের দলই ক্ষমতা দখলের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে যা পাক সেনা মানবে না কখনই। তাই তাদের একমাত্র কাজ হবে নির্বাচনকে ডিলে করা ও সঠিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশে তৈরি করা পাক নির্বাচন কমিশন আগে জানিয়েছিল, ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র নির্বাচন করতে হবে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
যদিও তাতে কিছুই যায় আসেনা বলেই দাবি কূটনীতিবিদদের। পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত অর্ধেক সময়েই পাকিস্তান দেশটি সেনাবাহিনীর শাসনাধীন থেকেছে। বাকি সময় অসামরিক সরকার থাকলেও তা কার্যত সেনার মদতেই টিকে থেকেছে। এবারো যে তার ব্যতিক্রম হবে না তা চোখ বুজে বলাই যায়।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version