৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷
Pakistan economy: পাকিস্তানের মাটিতে বড়সড় গুপ্তধনের সন্ধান৷ কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার দেশটা করতে পারবে তো? বলা হচ্ছে, ভারত-ইরানের পর ভাগ্য বদলে যেতে পারে ইসলামাবাদের৷ পাকিস্তান দারিদ্র্যের হাত থেকে পেতে পারে পুরোপুরি মুক্তি৷ কিন্তু পাকিস্তান যা করে দেখাতে পারেনি তা বাংলাদেশ করে দেখিয়েছে৷ পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০.৬৯ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা হয়েছে৷ দেশটা বলছে ঋণ দাও নয়ত এবার শেষ৷ লিথিয়াম, সোনা নাকি ইউরেনিয়াম ঠিক কি পাওয়া গেল পাকিস্তানের মাটি থেকে? যে দাবি করা হচ্ছে এতে ভাগ্য বদলে যাবে দেশটার৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন পাকিস্তানেই রয়েছে ব্লু ইকোনমি৷ কী এই ব্লু ইকোনমি? খায় না মাথায় দেয়? এর হাত ধরেই নাকি পাকিস্তান শেষ থেকেই শুরু করতে পারে সবটা
ঠিক এখানেই জানেন তো এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ৷ পাকিস্তানের রাজস্ব রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে ঋণ এক বছর আগের ১৮.০৫ ট্রিলিয়নের তুলনায় ২৪.৪৪ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা হয়েছে৷ শুধু ঋণ নিলে হবে এগুলো শোধও তো করতে হবে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীল অর্থনীতি মানে অনন্য এক জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা৷ যা সবরকম উপকূলীয় কার্যকলাপকে সাহায্য করতে পারে৷ সমুদ্র সংক্রান্ত এই বিজনেস পাকিস্তান কেন যে কোনও দেশের অর্থনীতিকেই চাঙ্গা করে তুলতে পারে৷ গোটা বিশ্বে তিন বিলিয়নেরও বেশি মানুষ জীবিকার জন্য সমুদ্রের উপর নির্ভর করেন৷ তেল, গ্যাস ও পুননর্বীকরণ শক্তি ছাড়াও শিপিং, মেরিটাইম, কৃষি, মৎস চাষ পর্যটনের জন্য ব্যবহার করা হয় সমুদ্রকে৷ এই সবকিছু মিলিয়েই নীল অর্থনীতি তৈরি হয়৷
রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ তাদের সমুদ্রকে ঘিরে ব্যবসার কাজে বেশি এগিয়ে৷ সুন্দরবন থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন অবধি বাংলাদেশে সমুদ্র তটরেখা (৭১০ কিলোমিটার) প্রসারিত৷ গভীর সমুদ্র এলাকা থেকে তেল ও গ্যাস আহরণে ছাড়া বাংলাদেশ সমুদ্র সংশ্লিষ্ট পর্যটন শিল্প, ঝিনুক, সামুদ্রিক মুক্তাসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক সম্পদ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় এগিয়ে৷ পাকিস্তানের কাছে একই সুযোগ থেকেও তাহলে ইসলামাবাদ কেন তাতে ফোকাস করল না এতদিন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের ব্লু ইকোনমির সবথেকে লাভদায়ক পয়েন্ট হল ম্যারিন ট্রান্সপোর্ট৷ পাক সরকারের দ্বারা চালিত পোর্ট কাসিম অথরিটি ও করাচি পোর্ট ট্রাস্ট প্রতিবছর ২ বিলিয়ন ডলার অর্থ আনে দেশের মাটিতে৷ পারস্য উপসাগরের ঠিক মোহনায় এবং হরমুজ প্রণালির ঠিক বাইরে গোয়াদর বন্দরকেও যদি সঠিক কাজে পাকিস্তান লাগাতে পারে ৷ তাহলে কয়েকবছরে বদলে যাবে দেশটার চেহারা৷ বিশ্বের তেলের প্রায় ২০ শতাংশের প্রবেশ ও বহির্গমন পথ হচ্ছে এই হরমুজ প্রণালি৷ গোয়াদার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রণালি থেকে মাত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরে৷
পাকিস্তানের বু্দ্ধিজীবী মহলের অনেকেরই দাবি, অনেকেই বলছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও সরকারের দূরদর্শিতার অভাবে আজ বুস্ট করা হয়নি ব্লু ইকোনমির এই সেক্টর৷ পাকিস্তানের বালোচিস্তানে রয়েছে গভীর উপকূলরেখা যা মত্স্যচাষ ও ঝিনুক, সামুদ্রিক মুক্তচাষের উপযুক্ত এলাকা৷ দ্য ট্রিবিউনের একটা রিপোর্ট বলছে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যপার পাক সরকার এদিকে ঘুরেও তাকায়নি৷ এই নীল অর্থনীতির ব্যবহার করেই পাকিস্তান তাদের অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে। কিন্তু কবে এসব করবে দেশটা কবে হতে ইসলামাবাদের সুমতি সেটাই দেখার৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম