।। প্রথম কলকাতা ।।
দেশের ভিখারিদের বিদেশে বেচছে পাকিস্তান। সেটা কেমন ব্যাপার সৌদি আরব পাকিস্তানকে দিল কড়া ওয়ার্নিং। মধ্যপ্রাচ্যে ভিখারিদের পাঠিয়ে পাকিস্তানের কত লাভ জানেন? আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের মাথা হেট হয়ে গেল। ব্যাপারটা খুব হালকা নয় সৌদি আরব, ইরাকের মতো দেশগুলোতে ভিখারিদের কেন পাঠাচ্ছে পাকিস্তান? নাকি পাকিস্তানে খেতে না পেয়ে পশ্চিম এশিয়ায় পালাচ্ছে মানুষ আর সেখানে ভিক্ষাবৃত্তি করেই চলছে পেট পাকিস্তানিদের। ভারতের বন্ধু দেশও এবার পাকিস্তানকে দিতে পারে হুমকি।
পাকিস্তানের আর মানায় না ভারতের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করা। ভিখারি আর পকেটমার পাঠাবেন না আমাদের দেশে। সৌদি আরবের সঙ্গে ইরাকও এবার পাকিস্তানকে দিল কড়া বার্তা। কোনও ভাবেই যাতে ভিখারি কিংবা পকেটমারের মতো ছিঁচকে অপরাধীরা যাতে হজের সুযোগ না পান সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট ভাষায়। সৌদির এমন হুমকি পেতেই বেরিয়ে এল সত্যিটা বাইরে। বিভিন্ন দেশে আটক ভিক্ষুকদের ৯০ শতাংশই নাকি পাকিস্তানি। সৌদি আরবের মসজিদুল হারামের মতো পবিত্র স্থানগুলোতে আটক পকেটমারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাকিস্তানি রয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধির জেরে দমবন্ধ হয়ে আসা পাকিস্তানের আসল সত্যিটা তাহলে এই।
হজ শুরুর আগে সৌদি আরবের থেকে সতর্কবার্তা এসেছে পাকিস্তানে। জানা যাচ্ছে প্রতিবছর হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য যত পাকিস্তানি সৌদি আরবে যান তাদের সবাই দেশে ফিরে আসেন না। এই ফিরে না আসা লোকজনের একটি বড় অংশ পরে চুরি, পকেট মারা, ভিক্ষা শুরু করেন। আর জেনে রাখুন সৌদি, আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে চুরি ও ভিক্ষাবৃত্তি উভয়ই শাস্তিযোগ্য অপরাধ ভিক্ষুকদের গ্রেপ্তার করতে প্রায়ই অভিযান চালায়। সেখানকার আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। পাকিস্তানের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জুলফিকার হায়দার পার্লামেন্টে যে তথ্য তুলে ধরেছেন তাতে অনেকেই হতবাক। পাকিস্তান থেকে বিদেশে যাওয়া ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে। এই ভিক্ষুকদের অনেকে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব এবং ভ্রমণের ভিসা লাগিয়ে ইরান, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে যাচ্ছেন। এখন তো ভিক্ষুকদের জন্য নতুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে জাপানও।
এর নেপথ্য সবথেকে বড় কারণ হল বেকারত্ব। ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পাকিস্তানে এই মুহূর্তে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সংকট চলছে। অদক্ষ তো বটেই, শিক্ষিত ও দক্ষ তরুণ-তরুণীদেরও মধ্যেও বেকারত্বের হার বাড়ছে দিন দিন। আর এই সমস্যার কোনও সমাধান এখনও ইসলামাবাদের কাছে নেই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখনও পাকিস্তানী কর্মীদের চাহিদা রয়েছে। তবে তারা আর অদক্ষ শ্রমিক নিতে চায় না, আর এভাবে ভিখারিরা সেসব দেশে বাড়তে থাকলে কোনদিন যে সৌদি আরব চটে যাবে কে বলতে পারে। অনেকেই বলছেন পাকিস্তান এখন ভিখারিদেরও রফতানি করা শুরু করে দিল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম