৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷
Pakistan: আমেরিকা-চিনের ওপর আগের মতো ভরসা করছে না আর পাকিস্তান? পাকিস্তান এবার নিজের দেশের মাটিতেই বানিয়ে ফেলল ড্রোন৷ ভারতের জন্য কি নয়া হুমকি? পাকিস্তান গত পাঁচ বছরের সবথেকে বেশি অস্ত্র কিনেছে তাদের ঘরের বন্ধু বেজিংয়ের কাছ থেকে৷ প্রায় ৭৪ শতাংশ৷ কিন্তু পাকিস্তান যেন এবার ভারতের দেখাদেখি স্বাবলম্বি হতে শুরু করেছে৷ এর মানে কি বলা যেতে পারে আত্মনির্ভর পাকিস্তান? দেশীয় প্রযুক্তি এই প্রথমবার ড্রোন বানিয়ে ফেলল পাকিস্তান৷
এই ড্রোন যে শত্রুদেশের ঘুম ওড়াবে এমন দাবি এখনও তারা করেনি কিন্তু ইসলামাবাদ বলছে এই ড্রোন খতরনাক৷ প্রশ্ন উঠছে কতটা? ভারতকে টার্গেট করেই নিশ্চয় এমন ভাবনা এসেছে পাকিস্তানের মাথায়৷ ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা তাতে নিশ্চিত৷ কিন্তু পাকিস্তান এখনও চুপ৷ নতুন সামরিক ড্রোন ‘শাহপার-১’কে বিশ্বের সামনে তুলে ধরল পাকিস্তান৷ তুরস্কও দেখতে নতুন এই যুদ্ধাস্ত্র কতটা ছক্কা হাঁকাতে পারে৷ এতদিন তো পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ভান্ডারে শুধুমাত্র নজরদারি ড্রোন ছিল৷ তাহলে শাহাপার কি এর থেকেও বেশি? শাহাপার ড্রোন হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে নাকি? তাহলে তো ভারতকেও ভাবতে হবে৷
পাকিস্তান সরকারের কোম্পানি জিআইডিএস (গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ডিফেন্স সলিউশনের) সিইও আসাদ কামালের দাবি, পাকিস্তান সরকার তাকে পরিষ্কারভাবে নির্দেশ দিয়েছিল৷ পাকিস্তান যে প্রযুক্তির জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল৷ তা ধীরে ধীরে পাকিস্তানে বিকশিত করতে হবে৷ এরপরই জন্ম হয় ‘শাহাপার’-এর৷ বরাক নামের একটি নজরদারি ড্রোনের পর এবার এল শাহাপার৷ শাহাপার হামলা করতে পারে টার্গেটের ওপর সরাসরি৷ পাকিস্তান আপডেটেট ভার্সন শাহাপার ২ নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে৷
শাহপার-২ কে বলা হচ্ছে পাকিস্তানের ফ্ল্যাগশিপ ড্রোন৷ ঘণ্টায় ১২০ নটিক্যাল মাইল (নটস) পর্যন্ত গতিতে উড়তে পারে৷ এর টেক-অফ স্পিড ৮০ নটিক্যাল মাইল থেকে ৮৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত৷ এর ক্রুজ গতিও ৮০-৮৫ নট৷ ড্রোনটির ডাটা লিংক রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার৷ যা এখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, জিআইডিএসের অন্যান্য ড্রোনের মধ্যে রয়েছে ইকাবও৷ এটি রীতিমত অস্ত্র বহনে সক্ষম৷ আবাবিল-৫ ড্রোনটি পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে এতে দুটি মর্টার শেল লোড করা যায়৷ তবে এই ড্রোন ভারতের ড্রোনের সম্ভারের আশেপাশেও ঘেষতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ DRDO-র তৈরি ভারতের বোমারু ড্রোন AFWTD৷ চোখের পলকে গুড়িয়ে দিতে পারে পাকিস্তানের এই প্রযুক্তিকে৷ যদি তুলনা সেভাবেই করা হয় তাহলে৷ তবে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মহল বলছে, পাকিস্তানের টার্গেট শুধু কিন্তু একটাই নয়৷ ইসলামাবাদ চাইছে,এই ড্রোন অন্য দেশের কাছে বিক্রিও করতে৷ তাই তো করাচিতে চলমান অস্ত্র প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের অস্ত্র প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো প্রথমবারের মতো এমন ধরনের ড্রোন প্রদর্শন করেছে৷ সেখানে রয়েছেন চিন-তুরস্ক ছাড়াও অনেক দেশের কোম্পানি অংশ নিয়েছে৷ দেখা যাক কোন দেশ পাকিস্তানকে এতটা ভরসা করে কিনা তাদের তৈরি ড্রোন কিনে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম