Pak Drone: ভারতের সাথে শত্রুতা করতে ভুলছে না পাকিস্তান! বারংবার ড্রোন হামলার কারণটা কী?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Pak Drone: ভারতের(India) সঙ্গে শত্রুতা করা পাকিস্তানের(Pakistan) যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে। এত কিছুর পরেও পাকিস্তান শত্রুতা করতে ভুলছে না। গোটা বিশ্বজুড়ে এখন রাজনৈতিক দল ভাগাভাগি চলছে। তার মাঝে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অবস্থা বেশ টালমাটাল। চরম দ্রব্যমূল্য সংকট থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলায় ভুগছে দেশটি। এমত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে ভারতের দিকে উড়ে এল ড্রোন(Drone)। সেই ড্রোনে ছিল একে সিরিজের রাইফেল এবং তিন ডজনের বেশি বুলেট। যদিও তা ভারতের কোন ক্ষতি করতে পারিনি। ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর চোখে পড়ে যায়। মুহূর্তে ওই ড্রোনটিকে গুলি করে নামায় বিএসএফ(BSF)। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত একটা নাগাদ সীমান্তবর্তী গুরুদাসপুর জেলার মেটলা গ্রামের কাছে।

শুক্রবার পাঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাতের ওই ঘটনার পর দিনের আলো ফুটতেই গোটা এলাকার ঘিরে ফেলে বিএসএফ। পাশাপাশি এগিয়ে আসে পুলিশ। ওই গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একে রাইফেল, চল্লিশটি বুলেট, ড্রোন এবং দুটি ম্যাগাজিন। এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। সীমান্তে পাকিস্তান এবং চীনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। ২০২২ এর ডিসেম্বর মাসেও ভারতের আকাশে দেখা গিয়েছিল পাক ড্রোন। অমৃতসর সেক্টরের বর্ডার আউট পোস্টের উপর উড়তে থাকা ওই ড্রেনটিকে গুলি করে নামায় বিএসএফ। কিছুদিন আগেই পাঞ্জাব সীমান্তেই ড্রোন হানা হয়েছিল। তখনও ড্রোনের উদ্দেশ্য গুলি ছোঁড়ে বিএসএফ।

ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এভাবে বারংবার পাকিস্তানি ড্রোনের হানা সত্যি চিন্তার ব্যাপার। কারণ ভারতে বেশ কয়েকবার দেখা মিলেছে এই ড্রোনের। বিশেষ করে অস্ত্র আর মাদক পাচারের জন্য পাকিস্তান এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করছে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এবারে পাওয়া গেল বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। এক্ষেত্রে যে ধরনের ড্রোনগুলি পাওয়া যায় তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে হেরোইনের মতো মাদকদ্রব্য। বাজারে যার মূল্য কোটি কোটি টাকা। আবার কখনো বা জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় অস্ত্র। তাই আগে থাকতেই সতর্ক হয়ে পাঞ্জাবের ভারত-পাক সীমান্তে নজরদারি আরো বাড়ানো হয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে চীনের। কয়েকদিন আগেই পাঞ্জাবের অমৃতসরে যে ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়েছিল ফরেনসিক বিশ্লেষণে জানা যায় সেই ড্রোনটি চীনে প্রথমে ব্যবহার করা হয়েছিল। তারপর পাকিস্তানে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত ভারত-পাক সীমান্তে মাদক পাচারের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। ওই ড্রোনটি প্রথম ওড়ানো হয়েছিল ২০২২ এর ১১ জুলাই চীনের সাংহাইয়ে। ভারত সরকার ড্রোন নজরদারি আটকাতে সদা তৎপর। ইতিমধ্যেই সরকারি তরফ থেকে ড্রোন বিষয়ে নতুন নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। গত দুই বছরের হিসাবে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে বহু ড্রোন ভারতের দিকে উড়ে এসেছে। তাতে কখনো ছিল অস্ত্রশস্ত্র কখনো বা মাদক কিংবা বিস্ফোরক। সম্প্রতি পাওয়ার ড্রোনটি ফরেন্সিক বিশ্লেষণে পাঠানো হয়েছে।

Exit mobile version