এবার মোবাইলের মতো রিচার্জ করতে হবে বিদ্যুৎ, আপনার বাড়িতেও বসবে স্মার্ট মিটার

।। প্রথম কলকাতা ।।

আগে থেকে দিতে হবে টাকা, না হলেই পড়বেন মহা বিপদে। স্মার্ট মিটারে সুবিধা নাকি অসুবিধা? কত টাকা এক্সট্রা গুনতে হবে? পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে তোড়জোড়। স্মার্ট মিটারে রয়েছে একগুচ্ছ সুবিধা। মোবাইল প্ল্যানের মতো রিচার্জ করতে হবে। তবেই জ্বলবে লাইট, ঘুরবে ফ্যান, চলবে টিভি। এই মিটার একবার বসানোর পর বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছে কোন বিল বকেয়া থাকবে না। যত টাকার বিদ্যুৎ রিচার্জ করবেন, ঠিক ততটাই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। সংযুক্ত থাকবে ইন্টারনেটের সঙ্গে। মিটারে কোন কারসাজি হলেই সিগন্যাল পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎ অফিসে। বাড়িতে স্মার্ট মিটার ইন্সটলের পর আপনি আপনার বিদ্যুৎ খরচ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাবেন। যে কোনো সময় চেক করতে পারবেন বিদ্যুৎ ব্যালেন্স।

সাধারণ বিদ্যুৎ মিটারে মাঝেমধ্যে ভুল রিডিং নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন অভিযোগের পর সেই বিল সংশোধন করা হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন স্মার্ট মিটারে। বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করতে মিটারের কাছে আসবে না কোনো লোক। রিচার্জ করলেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে চালু হয়ে যাবে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ। পাশাপাশি মিটারে লোড কম বেশি থাকলেই আপনাকে জানান দেবে অ্যালার্ম। ধরুন আপনি বাড়িতে নেই কিন্তু বিদ্যুতে কোন সমস্যা হয়েছে, তাও নো চিন্তা। আপনার ফোনে চলে আসবে মেসেজ। স্মার্ট প্রিপেইড মিটারে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। দরকার না হলে রিচার্জ করার দরকার নেই।

বিদ্যুৎ দপ্তরের দাবি, এতে গ্রাহক প্রচুর সুবিধা পাবেন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। তাহলে অসুবিধা কোথায়? যা নিয়ে এত হইচই? সাধারণ মিটারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ১, ২ কিংবা ৩ মাস পর বিল আসে। পরিশোধের জন্য পাওয়া যায় সময়। কোন মাসে টাকা না থাকলে পরের মাসে জরিমানা দিয়ে বিল পরিশোধ করা যায়। কিন্তু সেই অপশন পাবেন না প্রিপেড স্মার্ট মিটারে। আপনাকে আগে থাকতেই রিচার্জ করতে হবে। অ্যাকাউন্টে টাকা শেষ হওয়া মাত্রই আপনার বাড়ি অন্ধকার। যারা অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে এটা বেশ সমস্যার।

আরেকটা বড় অসুবিধা, বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রচুর কর্মী কাজ হারাতে পারেন। পাড়ায় পাড়ায় যারা মিটারের রিডিং নিতে আসেন, তাদের ভবিষ্যৎ কি? উপরন্তু ট্যারিফের বোঝা চাপতে পারে সাধারণ মানুষের উপর। খরচ কিছুটা হলেও বাড়বে, কিন্তু কতটা বাড়বে তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এবার দেখার এই অ্যাডভান্স টেকনোলজি দিয়ে তৈরি মিটার অভিশাপ নাকি আশীর্বাদ। সেটা তো বলবে ভবিষ্যত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version