Nadia: শুধু চায়ের কাপে চুমুক নয়, আস্ত কাপেই কামড়! এই ‘অবাক চা পান’ কোথায় হচ্ছে জানেন ?

।। প্রথম কলকাতা।।

Nadia: পাড়ার দোকানে বসে গরম চায়ের কাপে চুমুক, সাথে চেনা পরিচিত মানুষের সাথে কথাবার্তা এটা প্রায় প্রত্যেক পাড়ার মোড়ের ছবি। চা খাওয়ার পর সেই কাপটি ফেলে দেওয়া হয় ডাস্টবিনে । আর যদি কাঁচের গ্লাসে চা পান চলে তাহলে সেটি ধুয়ে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয় । কিন্তু বর্তমানে নদিয়ায় ( Nadia) চা খাওয়া থেকেও চায়ের কাপ দেখতে বেশি ভিড় জমছে। পাড়ার প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে শিশু এবং কিশোর সহ মহিলারা পর্যন্ত চায়ের দোকানে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। কারণ সেখানে শুধুমাত্র চা পান করার সুযোগ নেই, রয়েছে গোটা চায়ের কাপ (Edible cup) কামড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা।

শুনে সত্যিই অবাক হতে হয় কিন্তু এমনই নির্ঝঞ্ঝাট চা ( Tea) পানের ব্যবস্থা করেছেন নদিয়ার শান্তিপুর নতুনহাট অঞ্চলের এক চা ব্যবসায়ী মথুরা কর্মকার। অবশ্য তাঁর দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় এই বিশেষ ধরনের কাপ তিনি আনিয়ে তারপর বিক্রির শুভ সূচনা করেছেন সরস্বতী পুজোর দিনে। আর তার এই চায়ের কাপে চা খাওয়ার জন্য ভিড় জমছে চা খোরদের। তবে কাপ কী চিবিয়ে খাওয়া যায় ? এই প্রশ্ন মনে উঠতেই পারে । উত্তরও রয়েছে দারুন মজাদার। চায়ের কাপ চিবিয়ে খেলে একদিকে পুষ্টিগুণ পৌঁছাবে আপনার শরীরে। অন্যদিকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যারও সমাধান হতে পারে।

আসলে এই চায়ের কাপগুলি খাওয়ার যোগ্য। এগুলি তৈরি করা হয়েছে ভুট্টা ,জোয়ার, রাগী, বাজরা এই ধরনের খাদ্যশস্য দিয়ে । এই গুলির মধ্যে ফাইবার থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। প্রথম দক্ষিণ ভারতের শুরু হলেও এখন ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য প্রান্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে এই ধরনের খাওয়ার যোগ্য চায়ের কাপ। ঠিক যেমন প্যাকেটজাত ওয়েফার বিস্কুট পাওয়া যায় দোকানে , তেমনি এই চায়ের কাপগুলি । কাজেই চা খাওয়ার জন্য আলাদা করে বিস্কুটের প্রয়োজন হবে না। শেষে চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারবেন চায়ের কাপ । আর তাতে গ্যাস, অম্বল, বদহজম, পেটের সমস্যা সবকিছুই মিটবে।

চা ব্যবসায়ী মথুরা কর্মকার জানান, তিনি এই ধরনের বিশেষ কাপের খোঁজ পেয়েছিলেন youtube থেকে। তবে সেই কাপ খোলা বাজারে পেতে তাঁর প্রায় দু বছর সময় লাগলো। কলকাতা থেকে তিনি প্রাথমিকভাবে ১০ প্যাকেট কাপ আনিয়ে রেখেছিলেন । এক একটি প্যাকেটের মধ্যে থাকে ১৫ টি কাপ। সেই কাপ প্রতি পিস পিছু চার টাকা দাম পরে । আর সেই কাপে মথুরা বাবু চা বিক্রি করছেন ১২ টাকা এবং কফি বিক্রি করছেন ১৫ টাকায় । লাভ খুব একটা না হলেও ক্রেতাদের বেশ পছন্দ হচ্ছে । তাঁর কথায়, বেশি পরিমাণে যদি কাঁচামাল রূপে ওই কাপ তিনি তুলে রাখতে পারেন, তাহলে হয়তো সে দিক থেকে লাভ তুলতে পারবেন। যদি চা খাওয়ার সাথে সাথে পেটের স্বাস্থ্যও ভালো রাখা যায় , তাহলে লক্ষ্মীলাভ বেশ ভালোই হবে বলে আশাবাদী তিনি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version