।। প্রথম কলকাতা ।।
Holi Vastu Tips: শুরু হয়ে গেছে রং খেলার প্রস্তুতি। গোটা ভারত (India) রঙিন হবে বিভিন্ন রঙে। যে রং শুধু নিছক রং নয়, তার সঙ্গে মিশে রয়েছে দেশবাসীর আবেগ, ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাস। ২০২৩ এর দোলযাত্রা (Dol Jatra) রয়েছে ৭ই মার্চ এবং হোলি (Holi) উৎসব রয়েছে ৮ই মার্চ। মূলত যেদিন হোলি উৎসব থাকে তার আগের দিন ভারতবর্ষ জুড়ে পালন করা হয় হোলিকা দহন (Holika Dahan), বাঙালিদের কাছে যা ন্যাড়া পোড়া হিসেবে পরিচিত। হোলি এবং পূর্নিমা তিথির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান প্রচলিত বিশ্বাস এবং ধ্যান ধারণা। যার বশবর্তী হয়ে মানুষ বিভিন্ন নিয়ম পালন করে থাকেন। যদিও এর নেপথ্যে কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। সবটাই নির্ভর করছে প্রচলিত বিশ্বাস এবং কথিত ধ্যান ধারণার উপর। মনে করা হয়, হোলি বা পূর্ণিমা তিথিতে সামান্য কয়েকটি কাজ বদলাতে পারে ব্যক্তির ভাগ্য, দূর করে দারিদ্রতা। পাশাপাশি সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে সংসার।
জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তু অনুসারে, এই শুভ দিনে কিছু বিশেষ বাস্তু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও সুখ আসে। এটি ঋণ এবং অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
• ভগবান গণেশের পুজো
হোলির দিন প্রথমে গণেশের পুজো করুন। এর সাথে বাপ্পাকে ভোগ নিবেদন করুন। বিশ্বাস করা হয়, এই নিয়মে পরিবারে সুখের বন্যা বয়ে যায়।
• শোবার ঘরে রাধা-কৃষ্ণের ছবি
হোলির পবিত্র দিনে শোবার ঘরে রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখুন। এরপর ফুল নিবেদন করা হয়। বাস্তু মতে এই কাজে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে প্রেম ও মাধুর্য বজায় থাকবে এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি ভরে উঠবে।
• সূর্য দেবতা অঙ্কন
হোলির দিন বাড়ির প্রধান দরজার বাইরে সূর্যের ছবি লাগান। কথিত আছে, এটি বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে জীবন, চাকরি ও ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয় এবং উন্নতির পথ খুলে যায়।
• বাড়িতে গাছ রোপণ
হোলির দিন বাড়িতে মানি প্ল্যান্ট এবং তুলসি গাছ লাগানো শুভ বলে মনে করা হয়। এর সাহায্যে রাশিফলের গ্রহের দোষ দূর এবং সৌভাগ্য লাভ হয়।
• হোলি খেলুন বিশেষ রঙ দিয়ে
লাল, গোলাপি, সবুজ, কমলা, হলুদের মতো রঙকে শুভ বলে মনে করা হয়। এই রং গুলি ইতিবাচকতার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত। এবার এই রঙের আবির দিয়ে হোলি খেলুন। এছাড়া কালো, বাদামি ও গাঢ় রং নেতিবাচকতা ছড়ায়। তাই এসব রং দিয়ে হোলি খেলা এড়িয়ে চলুন।
• নরসিংহ স্তোত্র পাঠ
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করার জন্য শ্রী হরি নরসিংহের অবতার গ্রহণ করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে হোলির শুভ দিনে নরসিংহ স্তোত্র পাঠ করুন। এর সাথে হোলিকার আগুনে নারকেল নিবেদন করুন। বিশ্বাস করা হয় যে, এটি ঋণ থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।
• হোলিকা দহনের ছাই দিয়ে প্রতিকার
বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে রোগীর শরীরে ও বিছানায় হোলিকা দহনের ছাই ছিটিয়ে দিন। পাশাপাশি তার ওষুধ ও খাবারের যত্ন নিন। এর ফলে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
• শিবলিঙ্গে গোমতী চক্র অর্পণ করুন
ব্যবসায় উন্নতি পেতে হোলির দিনে শিবলিঙ্গে ২১টি গোমতী চক্র অর্পণ করুন। এর সাথে হোলির রাতে ‘ওম নমো ধনদায় স্বাহা’ মন্ত্রটি জপ করুন।
• আটার প্রদীপ
যদি আপনি ঋণের ভারে চাপা পড়ে থাকেন, এমতাবস্থায় আটার প্রদীপের টোটকা আপনার উপকারে আসবে। এটি যে কোন ব্যক্তির ঋণ দূর করে তাকে ধনী করতে পারে। হোলিকা দহনের রাতে আটা দিয়ে পঞ্চমুখী প্রদীপ তৈরি করুন এবং তাতে সরিষার তেল দিন। এতে কিছু কালো তিল, একটি বাতাশা, সামান্য সিঁদুর এবং একটি তামার মুদ্রা রাখুন। তারপর এই প্রদীপটি হোলিকা দহনের আগুনে জ্বালিয়ে বাড়ির আরতি করে একটি নির্জন মোড়ে রেখে দিন। বাতি রাখার পর আর ফিরে তাকাবেন না। এরপর ঘরের বাইরে মুখ ও হাত ধুয়ে ঘরে প্রবেশ করুন। ঋণ থেকে মুক্তি পেতে এবং আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে এই প্রতিকার খুবই কার্যকর।
এই ধরনের রীতি বা নিয়ম গুলি মূলত প্রচলিত এবং নানান মানুষের ধ্যান ধারণার উপর বিশ্বাস করে গড়ে উঠেছে। এগুলির পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। বহু মানুষ বিশ্বাস করে এগুলি মানেন আবার অনেকে কোন যুক্তি না পেয়ে এই নিয়ম গুলিকে গুরুত্ব দেন না। এগুলি মানা বা না মানা ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম