Tripura Assembly Election 2023: কোন গাফিলতি বরদাস্ত হবে না, ত্রিপুরার নির্বাচন নিয়ে কড়াকড়ি কমিশনের

।। প্রথম কলকাতা ।।

Tripura Assembly Election 2023: আগামী মাসেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Assembly Election) হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলি জোর কদমে প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই মতো পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কোনরকম বিশৃঙ্খলা কিংবা গাফিলতি সহ্য করা হবে না, এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে যদি কোন রকম গাফিলতি থেকে যায় তাহলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকেও শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। এমনটাই জানানো হয়েছে।

চলতি মাসেই ত্রিপুরার জেলা নির্বাচন অফিসার তথা জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার , নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে এবং অরুণ গোয়েল। ভোটের খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য অর্থাৎ ইভিএম থেকে শুরু করে নিয়ম-কানুন, আইন শৃঙ্খলা সব কিছু নিয়েই বৈঠকে আলোচনা করা হয়। আর সেই বৈঠকেই একেবারে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভোটের প্রস্তুতি ঘিরে রাজ্যের বর্তমানে ব্যস্ততা রয়েছে। আর সেই ব্যস্ততার মাঝে কোনরকম গাফিলতি করার জায়গা রাখা যাবে না।

কী কী আলোচনা হয় বৈঠকে ?

নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) আচরণবিধি (Guideline) অনুযায়ী, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে সুষ্ঠুভাবে আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। নির্বাচন চলাকালীন কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ লাগু করা হয়েছে। যেমন ফ্লেক্স বা ফেস্টুন চার ফুটের থেকে বেশি বড় করা যাবে না। চেইন ফ্ল্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। কোন রকম সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোন রাজনৈতিক দলের ফেস্টুন ব্যবহার করা যাবে না। কোথাও যদি দলগুলি জনসভা করতে চাই সে ক্ষেত্রে ওই নির্দিষ্ট জায়গার মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং পুলিশের কাছ থেকেও আগে সভা করার অনুমতি নিতে হবে।

বাড়ি বাড়ি প্রচার করার ক্ষেত্রে সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এই সময়ের আগে কিংবা পরে আর বাড়িতে গিয়ে প্রচার করা যাবে না। রাত দশটা পর্যন্ত মিছিল করতে পারবেন রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু তারপরে নয়। নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। কাজেই কোন জায়গায় যদি কোন রকম ভায়োলেন্সের সৃষ্টি হয় সেখানে যত দ্রুত সম্ভব এসে পৌঁছাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব মিলিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বিধানসভা ভোট যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় তার জন্য সচেষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version