।। প্রথম কলকাতা ।।
Assembly Elections 2023: ভারতের নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফ থেকে উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। ত্রিপুরায় এই নির্বাচন হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। ভোট গণনা হবে ২ মার্চ। বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্য সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে জোর কদমে প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অনেকেই এমন রয়েছেন যারা প্রথমবার ভোট দিতে চলেছেন। তাদের বেশ কিছু তথ্য আগেভাগে জেনে রাখা উচিত।
ভারতের প্রত্যেকটি মানুষই ভোট (Vote) দিতে পারেন। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নাগরিক শর্ত রয়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বেশ কিছু শর্ত জারি করা হয়েছে। ভারতীয় ভোটার হওয়ার জন্য যারা ১৮ বছর বয়সী তাদের প্রত্যেককে সর্বপ্রথম ভারতীয় নাগরিক এবং ভোটার হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তাঁরা কোথাকার বাসিন্দা এছাড়াও আরও একাধিক তথ্য সহ ওই নির্দিষ্ট জেলা নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা হিসেবে তাকে নিজের নাম তালিকা ভুক্ত করতে হবে। এরপরেই ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।
কারা ভোট দেওয়ার যোগ্য নয় ?
যদি কোন ব্যক্তি বিদেশী হোন এবং কোন কারনে বৈধভাবে তিনি কিছু সময়ের জন্য অন্য দেশে কিংবা অন্য রাজ্যে বসবাস করেন, তাহলে তিনি ভোট দিতে পারবেন না। এছাড়াও যদি কোন ব্যক্তি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত সেক্ষেত্রে তাকে ভোট দেওয়ার যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করা হয় না নাগরিক আইন অনুযায়ী।
ভোটার স্লিপ জারি
প্রতিটি নির্বাচনের আগেই একটি ভোটার স্লিপ (Voter Slip) বা ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকায় নাম থাকে নির্দিষ্ট অঞ্চলের বা নির্দিষ্ট রাজ্যের ভোটারদের। নির্বাচনের কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশন দ্বারা সেই স্লিপ গুলির ভোটাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এর মধ্যে থাকে ভোটারদের ফটো আইডি, প্রুফ সহ ভোটার কার্ড (Voter Card) নম্বর। যদি কোন ভোটার স্লিপ না পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি অনলাইনের মাধ্যমেও স্লিপ বের করে নিতে পারবেন। নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সেই স্লিপ দায়িত্বপ্রাপ্তদের হাতে দিলে ভোট দিতে পারবেন তাঁরা।
ভোটার আইডি ছাড়াও যেভাবে ভোট দেওয়া যায়
যদি কোন ব্যক্তির ভোটার আইডি না থাকে, অথবা তিনি তৈরি করতে দিয়েছেন এবং এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি, কিন্তু তিনি ওই এলাকা বা ওই রাজ্যেরই স্থায়ী বাসিন্দা। সেক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, তিনি ভোট দিতে পারবেন। তাকে বেশ কয়েকটি নথি প্রমাণ হিসেবে রাখতে হবে। যেমন একটি ভোটার নিবন্ধন ফর্ম, বসবাসের প্রমাণপত্র, বয়স এবং পরিচয়ের প্রমাণপত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম