চন্দ্রযান ৩-র সাথে জড়িয়ে নীলাদ্রির স্বপ্ন! বাংলার ছেলেকে নিয়ে গর্ব সকলের

।। প্রথম কলকাতা ।।

আর কিছুক্ষণ!চাঁদের মাটি ছোঁয়ার অপেক্ষায় চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার বিক্রম। বাংলার ছেলে নীলাদ্রির পরিবারের এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে চোখ টিভির পর্দায়। বাড়ির আদরের ছেলে চন্দ্রযান ৩ মিশনের সাথে যুক্ত। বাবা-মা থেকে পরিবারের সকলের চোখে কী আর ঘুম আসে। চন্দ্রযান ৩ -এর সাথে নীলাদ্রিকে নিয়ে আবেগে ভাসছে মছলন্দপুর। বাংলার ছেলের স্বপ্ন সত্যি হোক। এই চন্দ্রযান-৩ তৈরির পিছনে রয়েছেন একাধিক বঙ্গসন্তান। রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার মসলন্দপুর নকপুল গ্রামের ছেলে নীলাদ্রী মৈত্রও।

রাজবল্লভপুর হাইস্কুলের ছাত্র নীলাদ্রি এখন যেন মছলন্দপুরের গর্ব হয়ে উঠেছেন। বাংলা মিডিয়ামের পড়া নীলাদ্রী বরাবরই মেধাবী। ছোট থেকে ওর মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার শখ। ২০০৮ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন মছলন্দপুর নকপুল স্বামীজি সেবা সংঘ থেকে। ২০১০ সালে উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করেন রাজবল্লভ হাইস্কুল থেকে। ওই বছরই তিনি জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে ইসরোয় পরীক্ষা দিয়েও তিনি বিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগ পান নাসাতেও। তবে দেশের হয়ে কাজ করাই ছিল তাঁর স্বপ্ন ইসরোতেই পাঁচ বছরের প্রশিক্ষণ নেন তিনি। তারপর যোগ দেন চাকরিতে।

চন্দ্রযান তৈরি থেকে উৎক্ষেপণ পর্যন্ত ইসরোর টিমের সদস্য ছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন,
নীলাদ্রি ইসরোর এই প্রকল্পে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন দিকে দেখাশুনো করতেন। চন্দ্রযান ৩-এর বডি, ক্যামেরা-সহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দিকের দায়িত্ব ছেলের। চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ হতেই বাড়িতে ফোন করে সাফল্যের কথা জানিয়েছিলেন নীলাদ্রি। কর্মসূত্রে বাবা-মার সঙ্গে এখন কর্মস্থলেই রয়েছেন নীলাদ্রি। বছর চারেক আগে শেষ এসেছিলেন মছলন্দপুরে।কাজের চাপের জন্য গত কয়েক বছর মছলন্দপুরের বাড়িতে আসতে পারেননি।

বুধবার সন্ধ্যার এই শেষ ১৫ মিনিট ঠিক করে দেবে অভিযান সফল হবে কি না। ফলে টানটান উত্তেজনা। চন্দ্রযান ২ এর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার চন্দ্রযান ৩-কে অন্যরকমভাবে প্রস্তুত করেছে ইসরো। তার পিছনে রয়েছে বহু বাংলার ছেলের লড়াই। সব পরিশ্রম সার্থক হোক। প্রার্থনা সকলেরই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version