Nepal India: নেপালের এতবড় দুঃসাহস! কালাপানির বদলে এ কি চেয়ে বসলেন প্রচন্ড? ভারত নিল স্পেশাল স্ট্র্যাটেজি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Nepal India: নেপালের দুঃসাহস দেখুন ভারতের থেকে চিকেন নেক চেয়ে বসল? কোন অ্যাজেন্ডায় চিন কি নেপালকে এজেন্ট করে ভারতে পাঠিয়েছিল? প্রমাণ হাতেনাতে বাংলাদেশের ছুঁতো দিয়ে বড়সড় প্ল্যান। ভারত পাল্টা কীভাবে মুখ বন্ধ করাবে প্রচন্ডর দেশকে? এক হাতে দাও আর আরেক হাতে নাও৷ সোজা হিসেবের কথা বলছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুস্পকমল দহল প্রচন্ড। কিন্তু অলরেডি যেটা ভারতের সেটা ভারত দেবে কেন? নেপাল বাংলাদেশের ছুতো দিয়ে শিলিগুড়ি করিডরকে নিজেদের করতে চায়। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। চিকেন নেক কেন নেপালকে দেবে ভারত? অনেকেই বলছেন এটা মামার বাড়ির আবদার নাকি?

সঙ্গে বড় প্রশ্ন ভারতের সফরের পরই এখন তড়িঘড়ি চিনে কেন যেতে হবে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে? রিপোর্ট তো তেমনই বলছে জুলাই মাসে চিনে পাড়ি দেওয়ার প্ল্যান। না, নেপাল যে ছক কষেছিল সেটা এবার ভারতে ঠিক জমল না৷ জমিবিবাদ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্ত করা যেত। আদতে ভারতকে যে প্রস্তাব দেওয়া হল তা কি মানা সম্ভব? ভারত সরাসরি প্রত্যাখান করে দিল যখন নেপালে চিনের টাকায় তৈরি বিমানবন্দরে ভারতের সাহায্য চাইলেন প্রচন্ড। প্রথম ইস্যু, ২০১৯ কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর ভারত যে ম্যাপ প্রকাশ করেছিল তাতে উত্তরখন্ডে থাকা লিম্পিয়াদূরা-কালাপানি ও লিপুলেক এই ৩ এলাকা ভারত দেখায় আমাদেক এলাকা তবে সেসময় চটে যায় নেপাল।

ভারতের সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে তো সরাসরি বলেই ফেলেছিলেন তৃতীয় একটি দেশ হয়তো নেপালকে উস্কে দিয়েছে। সোজা কথায় চিন উস্কাচ্ছে নেপালকে। এবার সেই জমিবিবাদ দূর করার শর্ত হিসেবে প্রচন্ড বললেন নেপাল ভারতকে কালাপানি এলাকা দিয়ে দেবে। তার বদলে ভারত শিলিগুড়ি করিডর জিও স্ট্যাটেজিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ চিকেন নেক ভারত নেপালকে দিয়ে দিক। যাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য মজবুত করতে পারে নেপাল। অবশ্য এক্ষেত্রে বলে রাখি কালাপানি নিয়ে ভারত-নেপাল বিরোধ আজকের থেকে নয়। তারা ৯০এর দশক থেকেই ভারতের কাছে এই এলাকাটি নিয়ে কথা বলতে চাইছে।এমনকি ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর ষ নেপাল সফরের সময়েও এটি তারা আলোচনার এজেন্ডায় রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত সবসময় তা পাশ কাটিয়ে গেছে এদিকে ভারতের দাবি ছিল যা ভারতের যা নেপাল নিজেদের বলে দাবি করছে।

এখন প্রশ্ন হল হঠাত চিকেন নেকের প্রসঙ্গ কেন তুলল নেপাল? এই এলাকা নেপালের বেশি দরকার নাকি ঘুরপথে চিনের? ভারতের উত্তর-পূর্বে রাজ্যগুলির সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সংযোগরক্ষাকারী একটি সংকীর্ণ ভূখণ্ড। বহুকাল ধরে এই এলাকায় কুনজর রয়েছে বেজিংয়ের। শুধু শিলিগুড়ি করিডর নয় নেপালের প্রথম শর্ত ছিল উত্তরাখন্ডের মহেন্দ্রনগর এলাকার আশেপাশে ৪০০-৫০০ স্কোয়ার কিলোমিটার জমি তারা নিতে চায়। তারপর এটাও জানানো হয় এই এলাকায় তাদের বিশেষ আগ্রহ নেই। যদি এমন জমি পাওয়া যায় তা বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালকে কানেক্ট করাবে তাহলে সোনায় সোহাগা। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুস্পকমল দহল প্রচন্ড ও তাঁর পার্টি নেপালে গিয়ে রীতিমত ঢোল পেটাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে এই আলোচনা করে এসেছেন। প্রচন্ড কিন্তু এর পাল্টা নয়া দিল্লি কি জবাব দিল? সত্যি কি এধরণের কথা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে উত্থাপন করেছেন প্রচন্ড? বিশেষজ্ঞরা বলছেন নয়া দিল্লির তরফ থেকে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি৷ এটা ভাবলেও ভুল হবে ভারত এধরণের কোনও প্রস্তাবে রাজী হবে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version