নাটের গুরু চীনের মুখে ঠান্ডা যুদ্ধের হুঁশিয়ার, মোদীর ভোকাল টনিক সায়েস্তা বেজিং!

।। প্রথম কলকাতা ।।

ডবল গেম খেলতে চাইলেন শি জিনপিং পারলেন? ভারতের ক্ষতি করে ভারতের ওপরই চোটপাট কীভাবে এসসিওতে বোকা বনে গেল পাকিস্তান-উজবেকিস্তান তাজাকিস্তানেরা? নিজের সীদ্ধান্তে অটল থাকা ভারত সামনে আনল সত্যি। এরপরও কি ছোট ছোট দেশগুলো চীনপ্রীতিতে অন্ধ হয়ে থাকবে? ওয়াকিবহাল মহল বলছে বেজিংয়ের টোপ গিলে নেওয়া সহজ উগলানো নয়। এবারের SCO বৈঠকেও BRI ছাড়াও আর আর টোপ দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অন্যান্য দেশ এমনকি রাশিয়াও যা পারল না ভারত করে দেখালো।

অবশ্য অনেকেই বলছেন ভারতের এমন স্ট্রেটকাট অবস্থানের পর এরপর চীন-ভারত সম্পর্কে তিক্ততা হয়ত বাড়তেই পারে। বিভিন্ন নিউজ মিডিয়া হেডলাইনে হয়ত আপনারা দেখে থাকবেন চীন সতর্ক করছে বিশ্বে বাঁধতে পারে ঠান্ডা যুদ্ধ। গোটা বিশ্ব দুটো গ্রুপে ভাগ হচ্ছে। তাদের মধ্যে স্বার্থের সংঘাত শুরু হলে আবারও ঠান্ডা যুদ্ধ হবে। কে বলছেন একথা? বললেন চীনের হত্তাকত্তা বিধাতা শি জিনপিং৷ এখানেই কূটনৈতিক মহল যেন ঘোর কাটাতে পারছে না। তারা বলছেন এ তো গৃহস্থকে সতর্ক থাকতে বলে চোরকে ডেকে আনা হল। এখানেই থামেননি শি জিনপিং তিনি আরও বলেছেন কোনও দেশ যাতে আমাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে না পারে তারা আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলালে প্রতিবাদ করতে হবে।

এখানে আমাদের বলতে শি বুঝিয়েছেন এসসিও দেশগুলোকে একযোগে সরব হওয়ার কথা। এরপর মোদী দিলেন উচিত জবাব চীনকে দেখিয়ে দিল আসল জায়গা। তথ্য বলছে ভারত ছাড়াও SCO গ্রুপে থাকা ৩টে দেশের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে রীতিমত সংঘাত রয়েছে বেজিংয়ের। তাজাকিস্তান, কিরঘিস্তান, কাজাকাস্তান বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবে ব্যতিব্যস্ত। কিন্তু এমন কথা কেন বললেন জিনপিং? নেপথ্যে কারণ কি ভারত? তাজাকিস্তান মধ্য এশিয়ার অত্যন্ত গরিব ও ছোট একটি দেশ। ্তজাকিস্তানে থাকা পামির পর্বতমালা নাকি চীনের
আর বেজিংয়ের কূটনীতিবিদরা আর্টিক্যালে লেখালেখিও করেছেন এই পামির পর্বতমালা চীনকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। আর এবার সেই চীনের মুখে দুনিয়া বদলে দেওয়া কথা৷ ভারত পরিস্কার জানিয়ে দিল তারা এধরণের বক্তব্যকে প্রত্যাখান করছে। দিল্লির দাবি দুটো দেশের নিজস্ব বিবাদ কখনই সাংহাই গ্রুপের অংশ হতে পারে না।
সংগঠনের বাইরে থাকা কোনও দেশের বিষয়েও এসসিও নাক গলাবে না

কূটনৈতিক মহল বলছে, আসলে এসব বুঝিয়ে চীন নিশ্চিত করে নিতে চেয়েছিল। ভারত-চীনের দ্বন্দ্ব বাড়লেও যাতে আমেরিকা তাতে নাক না গলায় বা ভারত আমেরিকা যৌথভাবে যাতে চীনের স্বার্থে ঘা না দিতে পারে। মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও যাতে যুক্তরাষ্ট্র কোনওরকম সাহায্য না করতে পারে। অবশ্য ভারতের এই তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর আরও এবিষয়ে আলোচনা করেনি চীন। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বর্তমান দুনিয়ায় বিভিন্ন দেশের কাছে চীনের যা ইমেজ তাতে ড্যামেজ কন্ট্রোল মুশকিল। চীনের “মাস্টার প্রজেক্ট” বিআরআইয়ের ফাঁদে পা দিয়ে হাঁসফাঁস করছে। বাংলাদেশ, কাজাকাস্থান, উজবেকিস্তান, নেপাল, পাকিস্তানের মতো দেশগুলো কিন্তু তাদের ক্ষমতা নেই বেজিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার। কেন জানেন? কারণ আগেই মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল ড্রাগনের দেশ। ১৬ টা দেশকে BRI শুরুর আগে বিপুল ঋণ দিয়েছিল চীন। দুবছর পর চড়া সুদে দেওয়া ঋণ শোধ করার কথা বলা ছিল। এখন সেই ঋণ সোদ করতে তারা হিমসিম খাচ্ছে অথচ কোন দেশে তো কিছুই না কোনও দেশে আবার  আধভাগ কাজ হয়ে পড়ে রয়েছে BRIএর। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, ঠান্ডা যুদ্ধের যে বড় বড় কথা বলছে শি জিনপিং তারাই তো আসলে নাটের গুরু৷ সেটাই এবার চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল ভারত৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version