Nandini Di Hotel: চোখে জল, হিংসে র কারণেই বন্ধ যাচ্ছে নন্দিনীর ভাতের হোটেল

।। প্রথম কলকাতা ।।

Nandini Di Hotel: চোখে জল নন্দিনীর। একরাশ কষ্ট নিয়ে জানালেন তার হোটেলের মেয়াদ আর খুব বেশি নয় ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে ডালাহৌসির অফিস পাড়ার ফুটপাথে রোদ-ঝড়-জল উপেক্ষা করে ভাতের হোটেল চালানো স্মার্ট দিদি নন্দিনীর। যাকে নিয়ে ইউটিউবারদের মাতামাতি কারও কারও কাছে ‘অসহ্য’ ঠেকছে বহুদিন ধরেই। যদিও নন্দিনীর ভাতের হোটেলের খাবার খেতে, বলা ভালো নন্দিনীর হাত থেকে খাবার খেতে বাংলাদেশ থেকেও মানুষ ছুটে এসেছেন এখানে। সেই নন্দিনীই মনে একরাশ কষ্ট নিয়ে এক ইউটিউবারকে জানালেন, এবারে হয়তো তাঁর এই রাস্তার ধারের পাইস হোটেলটাই বন্ধ করে দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি একজন তিনি এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে তার এই জনপ্রিয়তা কিকিছু মানুষের সহ্য হচ্ছে না?

নন্দিনী দি তো তেমনই ইঙ্গিত ছিলেন ডালহৌসির অফিস পাড়ার ফুটপাতে তার দোকান। বাবা-মা অন্য তিনি নিজে এই দোকানে থাকেন সারাদিন। ঝড় জল উপেক্ষা করে পরিশ্রম করেন মমতা গঙ্গোপাধ্যায় বা সবার চেনা নন্দিনী দি নন্দিনীর জনপ্রিয়তায় ‘হিংসে’, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ডালহৌসির ভাতের হোটেল? মমতা গাঙ্গুলী ওরফে নন্দিনী গাঙ্গুলী বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন। স্থায়ী চাকরি ছেড়ে এসে তিনি ডালাহৌসি পাড়ায় পুটপাথে মা-বাবার সঙ্গে একটি ভাতের হোটেল চালান। তবে এবার শোনা যাচ্ছে, সেই হোটেলটিই নাকি বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ কি, ‘নন্দিনীর বর্ধিত জনপ্রিয়তা’? নন্দিনী দিকে নিয়ে ইউটিউবারদের মাতামাতি কারও কারও কাছে ‘অসহ্য’ ঠেকছে বহুদিন ধরেই। যদিও নন্দিনীর ভাতের হোটেলের খাবার খেতে, বলা ভালো নন্দিনীর হাত থেকে খাবার খেতে বাংলাদেশ থেকেও মানুষ ছুটে এসেছেন এখানে।

সেই নন্দিনীই মনে একরাশ কষ্ট নিয়ে এক ইউটিউবারকে জানালেন, এবারে হয়তো তাঁর এই রাস্তার ধারের পাইস হোটেলটাই বন্ধ করে দিতে হবে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা গেল এক ইউটিউবারকে নন্দিনী বলছেন, ‘দু দিন পর তোরা হয়তো আমাকে এখানে না-ও দেখতে পারিস।’ স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে কেন? তিনি কি নতুন কোনও জায়গায় স্থায়ী দোকান দিয়েছেন। নাকি ফুটপাথ থেকে তাঁকে জোর করে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এখন কিছুই খোলসা করতে চাননি তিনি। শুধু বললেন, ‘বলব, বলব… তোদের সবাইকে জানাব। আছে এরকম কিছু জিনিস। তোদের সব ইউটিউবারকেই ফোন করব। বসব। তোদের জন্যই তো আমি আজ এখানে। নন্দিনী থেকে নন্দিনী দিদি হয়েছি। পাঁচজন থেকে পঞ্চাশজন, একশোজন-দেড়শো জন (গ্রাহক), যাই পেয়েছি তোদের জন্যই পেয়েছি।

এরপর নন্দিনীকে আরও বলতে শোনা গেল, ‘যখনই দেখি না কেউ বাড়ছে, আমরা তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করি। তবে কথাতেই তো আছে রাখে হরি মারে কে। কপালে যা আছে তা তো হবেই। তবে সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে না নন্দিনী কোন জায়গায় নতুন দোকান কি করছেন নাকি ওই জায়গা থেকেই তার দোকান উৎখাত করা হচ্ছে। নন্দিনী এর আগেও জানিয়েছিলেন ডালাহৌসির এই দোকানটি তাঁর নিজের না। তবে করোনা-পরবর্তী সময়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে থেকে এর পিছনে সময় দেওয়া শুরু করার পর থেকেই এই দোকানটিকে দাঁড় করাতে ঢেলে দিয়েছেন আগাধ পরিশ্রম। দিনের বেশিরভাগটা সময় তো এখানে ব্যয় করেছেনই সঙ্গে নিজের সেভিংস সমস্তটাই দিয়ে গেছেন দোকানটির পিছনে। নন্দিনীর ভাইরাল হওয়া ‘দোকান বন্ধ হতে পারে’ ভিডিয়োটি দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন, তাহলে কি কারও বা কিছু মানুষের হিংসের কারণেই ফের কাজহারা হতে চলেছে এই মেয়েটা ও তাঁর পরিবার?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version