Naihati Boro Maa: নৈহাটির বড়মা এই বাড়িতে পা দিয়েছিলেন! কোন অলৌকিক ঘটনা ? ১০০ বছরে বিশেষ চমক

।। প্রথম কলকাতা ।।

Naihati Boro Maa: নৈহাটির ভবেশ চক্রবর্তীর বাড়িতে নিজে এসেছিলেন বড়মা। ২০১২ সালে কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল জানেন? ভবেশ চক্রবর্তীর বউমার চোখে যে কারণে আজও জল আসে। বড়মার কোন রূপ দেখেছিল চক্রবর্তী পরিবার? যা আজও ভোলার নয়। বলা হয় ধর্ম যার যার নৈহাটির বড়মা সবার। হাজার হাজার মানুষের প্রার্থনায় সাড়া দেন মা। ১০০ বছরে এবার কোন চমক? নৈহাটির মানুষ বিপদে বড়মার কাছেই ছুটে যান। ৪০০ লোক মন্দিরে রোজ কাজ করে। কোনও বেতন ছাড়াই নৈহাটির মানুষের কাছে বড়মা আশ্রয়। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বড় মায়ের পুজো একটু বেশি বিশেষ। কারণ এবছর শতবর্ষে বড়মা। ভবেশ চক্রবর্তীর বাড়িতে বড়মা এক অলৌকিক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।

ভবেশ চক্রবর্তীর বাড়িতে লাল পাড় শাড়ি পরে এসেছিলেন বড়মা। চোখ লাল, মাথায় জটা পরিচয় দিয়েছিলেন নবদ্বীপ থেকে এসেছিলেন। ভবেশ চক্রবর্তীর ছেলের বউ নিজে হাতে শাড়ি, আলতা সিঁদুর তুলে দিয়েছিলেন। যে ঘটনা বলতে গি্য়ে আজও গায়ে কাঁটা দেয় নন্দিতা চক্রবর্তীর। শাড়ি পেয়ে খুশি হয়ে চলে গিয়েছিলেন মা‌। তারপর ফিরে আসেননি কোনওদিন। বড়মার হয়তো ইচ্ছে ছিল ভবেশ চক্রবর্তীর বাড়িতে নিজে ধরা দেবেন। তাই এভাবেই দেখা দিয়েছিলেন। এবছর বড়মার পুজোর একশো বছর। বড়মার পুজোর সামেন রাস্তা ভরাট করা হয়েচে আলপনায়। নতুন সাজে বড়মাকে দর্শন করবেন ভক্তরা। বড়মার পুজোর সাথে কীভাবে জড়িয়ে ভবেশচক্রবর্তীর পরিবার?

শোনা যায় নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী তাঁর বন্ধুদের নিয়ে একবার নবদ্বীপে গিয়েছিলেন ভাঙা রাস দেখতে। সেখানে প্রতিমার আকার দেখে তিনি ঠিক করেছিলেন বাড়িতে একই আকারের কালীমূর্তি নিয়ে আসবেন আর, তার পুজো করবেন
সেইমতো চক্রবর্তী বাড়িতে সেই পুজো শুরুও হয়। ভবেশ চক্রবর্তীর পর তাঁর ছেলে পুজোর দায়িত্ব নেন। এদিকে প্রতিমার আকৃতি বাড়তেই থাকে। ভবেশ চক্রবর্তীর ছেলের মৃত্যুর পর ২০১২ সাল থেকে পুজোয় দায়ভার নিয়ে নেন পাড়ার অন্য সদস্যরা। তারাই এখনও নিষ্ঠাভরে মায়ের পুজো করে আসছেন।

আজও চক্রবর্তী বাড়িতেই তৈরি হয় প্রতিমার ভোগ। সেবকরা পুজোর খরচা বহন করেন। বছরের বাকি দিনগুলোতে পুজো চলে নৈহাটির বড়মা মন্দিরে। এখন মন্দিরে চলে এসেছে কষ্টিপাথরের মূর্তি। বছরভর বড়মার দর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন ভক্তরা।শ্যামাপুজোয় ভক্তদের দানের গয়নায় সেজে ওঠেন বড়মা। এখনও রীতি মেনে বিসর্জনের দিন প্রথমে বড়মার মূর্তি ভাসান দেন। তারপর অন্য সব প্রতিমার বিসর্জন হয়। ১৯৭০ সাল অবধি এলাকার যুবকরাই বড়মাকে কাঁধে করে বিসর্জন দিতে নিয়ে যেতেন। কিন্তু, দেবীর উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় এখন সেই রীতি বদলেছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version