Naihati Boro Maa: ১০০ ভরি সোনার গয়নায় সাজলেন নৈহাটির বড়মা, নতুন মন্দিরে পুজো কবে দিতে পারবেন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Naihati Boro Maa: বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তি বসল মূল মন্দিরে। ১০০ ভরির গয়নায় সাজলেন নৈহাটির বড়মা। মায়ের রূপ দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না। কবে থেকে বড়মাকে নতুন মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন? কোজাগরী পূর্ণিমায় বড়মার দর্শন করলে আপনার কোনও দুঃখ-কষ্ট থাকবে না।  ১৪ বছর পর নৈহাটির বড়মা মন্দিরের এল নতুন মূর্তি। বড়মার পুজো শতবর্ষে পা দিলেও এতদিন কালীপুজোর সময়টা বাদ দিয়ে বছরের বাকি দিনগুলিতে মায়ের বাঁধানো ছবিতেই নিত্যপূজা হতো। এবার নতুন করে মন্দির নির্মাণ করে সেখানে মায়ের মূর্তি বসানো হয়েছে। বড়মার গায়ে ১০০ ভরির সোনার গয়না। মুকুটের কাজ দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে সাথে রুপোর গয়নাতেও সাজানো হয়েছে। রাজস্থান থেকে আনা কষ্টি পাথরের সাড়ে চার ফুটের মূর্তি। নৈহাটির রাজেন্দ্রপুরে রাজস্থানি শিল্পী ধর্মেন্দ্র সাউয়ের হাতে বানানো শনিবার মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সঙ্গেই হল চক্ষুদান।

বড়মার অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলেই মনে করেন ভক্তরা, নৈহাটির বড়মাকে দেখতে কালীপুজোয় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান। দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন মা কালীর দর্শনে। মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে যান। মাকে কিছু চাইলে খালি হাতে কাউকেই ফেরান না মা। কথিত আছে নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী তাঁর বন্ধুদের নিয়ে একবার নবদ্বীপে গিয়েছিলেন ভাঙা রাস দেখতে সেখানে প্রতিমার আকার দেখে তিনি ঠিক করেছিলেন বাড়িতে একই আকারের কালীমূর্তি নিয়ে আসবেন। আর তার পুজো করবেন। সেইমতো চক্রবর্তী বাড়িতে সেই পুজো শুরুও হয় কিন্তু, প্রতিবছর প্রতিমার আকার বাড়ার ফলে আর বাড়িতে এই পুজো করা সম্ভব হয়নি। আজও চক্রবর্তী বাড়িতেই তৈরি হয় কালীপুজোর ভোগ। সেবকরা পুজোর খরচ বহন করেন। বছরের বাকি দিনগুলোতে পুজো চলে নৈহাটির বড়মা মন্দিরে শ্যামাপুজোয় ভক্তদের দানের গয়নায় সেজে ওঠেন বড়মা।

এখনও কালীপুজোয় বিসর্জনের দিন প্রথমে বড়মার মূর্তি ভাসান দেওয়া হয়। তারপর অন্য সব প্রতিমার বিসর্জন হয়। ১৯৭০ সাল অবধি এলাকার শক্তিশালী যুবকরাই বড়মাকে কাঁধে করে বিসর্জন দিতে নিয়ে যেতেন। কিন্তু, দেবীর উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় এখন সেই রীতি বদলেছে। ২৯ অক্টোবর থেকে নতুন মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা। এবার থেকে বছর জুড়ে মার মূর্তিতে পুজো দিতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version