ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে রহস্যময় সীমান্ত হাট! অপরাধ রুখে দিতে মোক্ষম চাল, সম্পর্ক হবে জলের মতো

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত মিশে যাচ্ছে এক অদ্ভুত জায়গায়। বড় রহস্যের আধার “সীমান্ত হাট” চোরাচালান রুখে দেবে একটা অস্ত্র। দিল্লি ঢাকার কথায় গ্রীন সিগন্যাল। কাঁটাতার, নদী অতীত, দুটো দেশকে কিভাবে আলাদা করবে এই সীমান্ত হাট?জি ২০ তেই খুলেছিল সম্ভাবনার দুয়ার, বাংলার বুকেই ৮-৮ টা সুযোগ। হাতে চাঁদ পাবে দুদেশের সীমান্ত। একেই বলে মোদী ম্যাজিক, আবেগে ভেসে যাবে ভারত বাংলাদেশের মানুষ। ভারত আর হাসিনার দেশ মিলে মিশে একাকার। বর্ডারের উপর গ্র্যাণ্ড আয়োজন। ঘটতে যাচ্ছে বড় কিছু। যা দু দেশের সম্পর্ক কে ঘুরিয়ে দেবে রাতারাতি। দ্রুত শুরু হতে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাট। দুদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য এটা খুব বড় সুখবর। যে বিশেষ হাটের প্ল্যানিং করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। একটা সীমান্ত হাটে লুকিয়ে একাধিক বেনিফিট। জানেন, এই সীমান্ত হাট আসলে কী?

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাট বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সীমান্ত বাণিজ্য বাজার। যে বাজার সপ্তাহে এক দিন বা দু’দিন চালু থাকে। এটা শুধুমাত্র দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য নয় বরং উভয় দেশের মানুষের জন্য পুনর্মিলনের একটি সুন্দর জায়গা। সীমান্ত হাটগুলোতে লেনদেন চলে ভারতীয় রুপি, বাংলাদেশ টাকায় এবং বস্তু বিনিময়ের ভিত্তিতে। যা সংশ্লিষ্ট সীমান্ত হাটের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়। এটা ভারত বাংলাদেশ বর্ডার। সীমান্তের বেশিরভাগ অঞ্চলেই কাঁটাতারের অনুশাসন। কোথাও সীমানা নির্দিষ্ট করেছে নদী। রয়েছে সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালানের রমরমাও। কিন্তু এইসব কে মিটিয়ে দেবে একটা সীমান্ত হাট। সেখানে গুচ্ছেক সীমান্ত হাটের কথা হচ্ছে। সরকারি সূত্র বলছে, সীমান্ত হাটের ফলে দু’দেশের নাগরিকদের সৌহার্দ্য বজায় থাকাবে। নতুন সীমান্ত হাট সীমান্তের উভয় পাশে অবৈধ বাণিজ্য কমানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য বাজারে প্রবেশ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ আরও উন্নত করবে। বহু ক্ষেত্রে চোরাচালানকারীদের দৌরাত্ম্যেও রাস টানা সম্ভব হবে। দু দেশের মধ্যে কথা হয়েছে, হাটে আসা-যাওয়ার প্রশ্নে সীমান্তবাসীদের ভিসা পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কী ভাবে আর কতটা শিথিলতা দেখানো হবে তা নিয়েও।

জি-টোয়েন্টির মঞ্চেও ভারত এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক লেনদেন সম্পর্কের আলোচনাতেও এই সীমান্ত হাট নিয়ে কথা হয়েছিল। কারণ ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জবরদস্ত করতে দু-দেশই উদগ্রীব। ভারতের মাটিতেই ১৬টি সীমান্ত হাটের কথা ভাবা হয়েছে। যার আটটি বাংলার মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে গড়ে ওঠার কথা। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এই প্রথম নয়, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য মেনেই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত হাটের প্রচলন। নতুন করে এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক এবং দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক। সীমান্ত হাট নিয়ে দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা প্রায় সম্পূর্ণ।

এবার শুধু বাস্তবায়নের পালা। শুধু বাংলা নয়, এসব সীমান্ত হাট মিজোরামেও স্থাপন করা হবে সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত গ্রামীন অঞ্চলের মানুষ বাজার হাটের সুবিধা পাননা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারেননা। তাই তাদের সুবিধার্থেই এই উদ্যোগ মোদী সরকার এর। যে সীমান্ত হাট এক ঢিলে মারবে দুই পাখি। কারণ এই সীমান্ত হাট ভারত বাংলাদেশ কে যে আরো কাছাকাছি আনবে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version