।। প্রথম কলকাতা ।।
India-Bangladesh Relationship: সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ডামাডোলের শেষ নেই। যার সঙ্গে বারংবার জড়িয়েছে ভারতের প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পরাশক্তিগুলো কি ভাবছে, কি ভাবছে না তা নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব রাজনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক আলোচনায় বারংবার এসেছে বাংলাদেশের নাম। যদিও ভারত প্রথম থেকেই বলে এসেছে, দেশটার নির্বাচন এক্কেবারে অভ্যন্তরীণ বিষয়। দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতিতে চলে। এবার পরস্পরের সহযোগিতা আরো গভীর করার উপর জোর দিল দুই দেশ। আলোচনায় উঠে এল তিস্তার জল বণ্টনের প্রসঙ্গ।
২৪ শে নভেম্বর শুক্রবার নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ভারত ফরেন অফিস কনসাল্টেশন (এফওসি)। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সির অধীনে একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার নেতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে “জি২০ লিডারস সামিটে” আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এফওসি মূলত বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় পর্যালোচনা করার লক্ষ্যে একটি বিস্তৃত আলোচনার জন্য একটি মূল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে এবং দুই দেশের জনগণের বৃহত্তর সুবিধার জন্য পারস্পরিক স্বার্থের নতুন উপায়গুলি অন্বেষণ করে থাকে।
উভয় পররাষ্ট্র সচিব বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ২০২৩ সালের অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা সংযোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন যে, এই ধরণের সহযোগিতা শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাস্তব ফলাফল প্রতিফলিত করে। দুই পররাষ্ট্র সচিব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক সংযোগ, আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড সংযোগ, নিরাপত্তা ও জল সংক্রান্ত সমস্যা, কনস্যুলার ও সাংস্কৃতিক বিষয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের ওপর জোর দিয়েছেন। উভয় পক্ষ পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি শান্তিপূর্ণ সীমান্তে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা উচিত।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম বিষয় গুলি হল, তিস্তা চুক্তি এবং অভিন্ন নদীর জল বণ্টন চুক্তির প্রাথমিক সমাপ্তি, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা দূর করা এবং দুই দেশের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি যোগাযোগ সম্প্রসারণের জন্য ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য তার প্রতিপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভারতের সহায়তাও চেয়েছেন।
অপরদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বাংলাদেশকে বিশ্বস্ত প্রতিবেশী হিসেবে অভিহিত করে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সাউথ এবং জি-২০ এর ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের প্রশংসা করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নেতৃত্বের অঙ্গীকারের আশ্বাস দিয়েছেন এবং অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম